আবারো ভয়ানক নৃশংসতার নিদর্শন আলিপুরদুয়ারে। এক মা তার নিজের বছর ৬ এর মেয়ে কে হত্যা করলো! সাথে সাথে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন তিনি। তিনি যদিও প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে সেই এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, সান্ত্বনা বর্মণ ওই অভিযু্ক্তের নাম। ফালাকাটা সে (Flakata) ব্লকের জটেশ্বর দুই নং গ্রাম পঞ্চায়েতের কুটিরপার এলাকার বাসিন্দা। নিকটবর্তী মালসাগাঁও-এর তপন বর্মণের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না সান্ত্বনার গত সাত-আট মাস ধরে। অভিযোগ, ওই বধূ স্বামীকেও কোপানোর চেষ্টা করে কয়েকমাস আগে। তীব্র অশান্তি হয় তা নিয়ে। এরপর সান্ত্বনা মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যায়। এদিকে তপনবাবু কাজে কেরল চলে যান।
বৃহস্পতিবার সকালে এসবের মাঝে আচমকা সান্ত্বনার বাপের বাড়ি থেকে প্রতিবেশীরা চিৎকার শুনতে পান। ছুটে গিয়ে ৬ বছরের মেয়ে তৃষা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে দেখেন। জানা গিয়েছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেয়েকে কোপানোর পর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে অভিযুক্ত। এরপর বীরপাড়া রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে। তৃষাকে মৃত বলে ঘোষণা করে সেখানকার চিকিৎসকরা। তাঁকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে সান্ত্বনার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত শুরু করা হয়েছে ঘটনার। মেয়েক কী কারণে খুন করল অভিযুক্ত, তা জানার চেষ্টা চলছে। এক চিকিৎসক এ বিষয়ে জানিয়েছেন, সম্ভবত মানসিক অবসাদে ভুগছে সান্ত্বনা। মেয়েকে খুনের পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল সে সেই কারণে। কিন্তু অবসাদ কী কারণে? রহস্যভেদের জন্য তদন্তকারীরা অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে জানিয়েছেন।