সূর্যনগরী যোধপুরে শিশু অপহরণের এক অদ্ভুত ঘটনা সামনে এসেছে। নগরীর নাগোরী গেট থানা এলাকায় বসবাসকারী এক নারী সন্তান না হওয়ায় এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন যে, তাকে জেলে যেতে হয়েছে। দুই যুবকের সহায়তায় রাস্তার ধারে বসবাসকারী এক ভবঘুরে যাযাবর পরিবারের এক শিশুকে অপহরণ করে নিয়ে যান এই নারী। বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত শিশুটিকে খুজেঁ বার করলো পুলিশ। এ ঘটনায় ওই মহিলা সহ ২ অপহরণকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
যোধপুরের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ ভুবন ভূষণ যাদব জানিয়েছেন যে ঝালাওয়ারের বাসিন্দা গিরিরাজ শহরের নাগোরি গেট থানায় একটি রিপোর্ট দায়ের করেন যে তিনি তার পরিবারের সাথে দিনমজুর হিসাবে কাজ করেন। দুই দিন আগে রাতে শহরের ঘুমার হোটেলের সামনে পরিবারের সঙ্গে রাস্তার পাশেই ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। ঘুম থেকে উঠে তিনি জানতে পারেন, তাঁর চার বছরের শিশু প্রদীপ সঙ্গে নেই। এ নিয়ে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।
রাতে দুই যুবক এসে শিশুটিকে নিয়ে যায়:
গিরিরাজের রিপোর্টে, পুলিশ একটি মামলা নথিভুক্ত করে এবং তাৎক্ষণিক তদন্ত শুরু করে। সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করে আশেপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ বিষয়ে জানা যায়, রাতে মুখে রুমাল ও মাথায় টুপি পরে দুই যুবক এসেছে। তারা বাইকের লাইট নিভিয়ে ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা মানুষের বাচ্চাদের পরীক্ষা করছিলেন এবং অনেক জায়গায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। এ নিয়ে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয় এবং অভিযুক্তকে শনাক্ত করে।
পরে পুলিশ সনাক্তকরণের পর মেঘওয়াল বস্তির বাসিন্দা বান্টি এবং ভিল বস্তির বাসিন্দা আকাশকে গ্রেপ্তার করে। যুবকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাদের পরিচিত কাগা কাগদির বাসিন্দা রেখার কোনো সন্তান নেই। দীর্ঘদিন ধরেই স্বামীর থেকে আলাদা থাকছিলেন রেখা। রেখা উভয় যুবককে একটি ছোট বাচ্চা এনে তাঁকে দিতে বলেন। এ জন্য তিনি যুবকদের কয়েক কিস্তিতে টাকাও দিয়েছেন। এরপর দুই অপহরণকারীই সুযোগ বুঝে শ্রমিক গিরিরাজ এর ছেলে প্রদীপকে অপহরণ করে। রেখাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার আরো তদন্ত চলছে।