স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক জন্ম জন্মান্তরের। কিন্তু স্বামীর সুখের বিনিময়ে নিজের জীবনের এতো বড় বলিদান এই স্ত্রী দিয়েছেন তা নিয়ে চাঞ্চল্য পরে গিয়েছে। স্ত্রীর কীর্তিতে হতবাক মহিলার পাড়া প্রতিবেশী থেকে সাধারন মানুষ সকলে। এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে স্বামীকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল পুলিশ। শেষ পর্যন্ত তাঁর স্ত্রীর আবেদনে সেই গ্রেফতার রদ করে পুলিশ আধিকারিকরা (Viral News)!
বলা হয় প্রেম অন্ধ। একজন মানুষ ভালোবাসার মানুষের জন্য সবকিছুই করতে পারে। হ্যাঁ, এই কথাটি একেবারেই সত্য। উত্তরপ্রদেশের বেরেলির ফরিদপুর শহরে প্রেম ও পারস্পরিক ভালোবাসার এক অভিনব ঘটনা সামনে এসেছে। শহরের এক মহিলা তার স্বামীর সুখের জন্য তাঁকে পুনরায় বিয়ে করতে সম্মতি দেন। শুধু তাই নয়, স্ত্রী স্বামীর দ্বিতীয় বিয়েতে শোভাযাত্রায় গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে নিজের সতীনকে নিয়ে বাড়িতেও আসেন।
জানা গিয়েছে, প্রায় বছর চার বছর আগে উত্তরপ্রদেশের বিয়ে হয়েছিল ওই স্বামী স্ত্রীর। বিয়ের পর থেকে ওই যুবক যুবতীর বিবাহিত জীবন শান্তিতেই চলছিল। এমনকী, ওই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সাংসারিক কোনও জটিলতাও ছিল না বলেই জানা গিয়েছে তাঁদের মধ্যে। কিন্তু বিয়ের চার বছর পার হয়ে গেলেও তাদের সন্তান হয়নি। এই নিয়ে মনের কষ্টে ছিলেন তারা।
সূত্রে জানা গেছে, কোনো সন্তানের জন্ম না হলে স্বামী আবার বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তার স্ত্রী দ্বিতীয় বিয়েতে সম্মতিও দিয়ে দেন। এরপর স্বামী দ্বিতীয়বার বিয়ে করলে প্রথম স্ত্রী বিয়ের শোভাযাত্রায় অংশও নিয়ে বিয়েতে যান। সে খুশিতে সতীন কে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে। তাদের পারস্পরিক মিলমিশের এই দৃশ্য দেখে সকলে অবাক হয়ে যান।
এসময় মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে ক্রুদ্ধ হন। তারা তাদের বাড়ির মেয়ের সাথে অন্যায় হয়েছে এই মনে করলে মেয়েটির স্বামীর বিরুদ্ধে ফরিদপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু স্ত্রীও স্বামীকে বাঁচাতে থানায় যান। পুলিশের সামনে জবানবন্দি দিয়ে তিনি বলেন, নিজের ইচ্ছায় স্বামীর দ্বিতীয় বিয়েতে সম্মতি দিয়েছেন। স্বামীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে চান না বলে জানান তিনি। তাই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। স্ত্রীর কাছ থেকে সম্পূর্ন জবানবন্দী শোনার পর অভিযুক্ত যুবককে ক্লিনচিট দিতে পুলিশও বাধ্য হন। স্বামীর প্রতি স্ত্রীর এই ভালোবাসার নমুনা দেখে আলোচনা চলছে গোটা বরেলি এলাকায়!