পরিবারের মধ্যে ভাইয়ের সঙ্গে ‘প্রেমের সম্পর্ক’। আর দিন যত গেছে আরও গভীর হয়েছে, ঘনিষ্টতা। কিন্তু মেয়েটির প্রেমিক বিশ্বাসঘাতকতা করলো। অভিযোগ, ওই মেয়েটির সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ওই কিশোর সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিনের পর দিন দিতে থাকে। তারপর ওই যুবতীর পরিবারে জানাজানি হয়ে গেলে। ওই যুবতী আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
সূত্রের খবর ওই কিশোরী তার মাসতুতো ভাইয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। কলেজে পড়তে পড়তেই এই প্রেমের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ট হতে থাকে। আর এই প্রেমের সম্পর্ক থেকেই গভীরতা এতটাই বেড়ে যায় যে তা শারীরিক সম্পর্ক অবধি এগিয়ে যায়। ওই কিশোরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দিদির সঙ্গে কাটানো গোপন মুহূর্ত গুলির ভিডিও রেকর্ড করে রাখত অভিযুক্ত। এরপর থেকে ওই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করতো দিদিকে। সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার কথাও বলতো ওই কিশোরীকে।
এই ঘটনার বেশ কিছুদিনের পর ওই ছবি ও ভিডিও ওই কিশোরীর এক কাছের বান্ধবীকে পাঠিয়ে দেয় অভিযুক্ত। ওই বান্ধবী কিশোরীর ভাইকে সেগুলো পাঠিয়ে দেয়। এভাবে তাদের ‘সম্পর্ক’-এর বিষয়টি পরিবারের মধ্য়ে জানাজানি হয়ে যায়। কিশোরীকে বকাবকি বাড়ির লোকেরা করেন। সেই অপমান সহ্য করতে পারেনি কিশোরী , তাই নিজের গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন কিশোরী। বাংলাদেশের জান্নাতুল উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের মাইগ্রাম এলাকায় গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।