বিয়ের নামে মাঝে মাঝেই প্রতারণার ঘটনা সামনে আসে। ফের বিয়ের নামে লুটপাটের শিকার হলেন এক যুবক। বিয়ের এক মাস পর ঠগ কনে শ্বশুরবাড়ি থেকে মোবাইল, নগদ টাকা, গয়না ও জামাকাপড় নিয়ে পালিয়ে যায় এবং ফোনে স্বামীকে স্পস্টাস্পষ্টি জানিয়ে দেয়- “আমি তোমাকে ভালোবাসি না, আর আমাকে ডাকবে না”। এই ঘটনায় এসপির কাছে ওই মহিলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ স্বামী। তথ্য অনুযায়ী, প্রায় এক মাস আগে বিয়ে হয় এই দম্পতির।
ঘটনাটি ছতরপুর জেলার রাজনগরের দলপতপুরা গ্রামের। এখানে সোহনলাল আহিরওয়ার তার পরিচিত হরদাস আহিরওয়ারকে বিয়ের জন্য সম্বন্ধ আনতে আর পাত্রী দেখাতে বলেছিলেন। হরদাস তাকে সাতনার পুষ্প দেবী আহিরওয়ারের কথা বলে এবং তাকে দেখানোর নামে ঘটকালী বাবদ ১০ হাজার টাকা চায়। টাকা দেওয়ার পর হরদাস ১০ জানুয়ারি রেওয়ার এ দিনেশ সাকেতের বাড়িতে নিয়ে যায়। দীনেশ পাত্রী মেয়েটির ছবি দেখিয়ে বলল যে এই মেয়েটি তোমাকে সাতনায় বিয়ে করবে। এর পরে, ১১ই জানুয়ারি সোহনলাল তার পরিবার, আত্মীয়, হরদাস এবং দীনেশকে নিয়ে সাতনা পৌঁছেন। যেখানে গিরওয়ার মাতা মন্দিরে দুজনেরই বিয়ে হয়। বিয়ের পর পুরো পরিবার চলে যায় ছতরপুরে।
বিয়ের ১৫ দিন পর পুষ্প নামের ওই মহিলা স্বামী সোহনলালের কাছে ফোন ও সোনার গয়না দাবি করে এবং না পেলে একসঙ্গে না থাকার হুমকি দেয়। বাধ্য হয়ে কনেকে ১৩ হাজার টাকায় ফোন কিনে দেন সোহনলাল। একই সময়ে তার বাবা দেড় লাখ টাকা ঋণ নিয়ে সোনার গহনার অর্ডার দিয়েছিলেন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি সোহনলালের বাড়িতে আসেন দীনেশ নামক ওই ব্যক্তি। পুষ্প সোহনলালকে কিছু খাবার দাবার আনতে পাঠাল। তিনি যখন খাবার কিনে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন, রাস্তায় দীনেশ ও স্ত্রী পুষ্পাকে গাড়িতে করে চলে যেতে দেখেন। সোহান তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তারা বাধা মানেননি। সোহান জানায়, বাড়িতে গিয়ে দেখে বাক্সে রাখা দেড় লাখ টাকা গায়েব। পাশাপাশি বিয়ের গহনা ও জামাকাপড় কিছুই নেই। নির্যাতিত যুবক জানায়, সে তার স্ত্রীকে ২ ঘণ্টা ধরে কল করেছিল। অনেকক্ষণ পর সে ফোন তুলে জানায় যে সে তার সাথে থাকতে চায় না এবং ফোন কেটে দেয়।
সোহান জানায়, তার বাড়িতেই পুষ্পের আধার কার্ড পাওয়া গেছে। যেটিতে তার নাম পুষ্প দেবী এবং তিনি উত্তর প্রদেশের সাতারি জেলা মহোবা চুয়ারির বাসিন্দা বলে লেখা হয়েছে। আধার কার্ডে উল্লেখিত ঠিকানায় পৌঁছলে গ্রামবাসীরা জানান, ৫ বছর আগে কারও সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল পুষ্প। এখন সে কোনো দিনেশ নামক ব্যাক্তির সাথে হাত মিলিয়ে বিয়ের নামে প্রতারণা করে। সবকিছু বুঝতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে সোহান। স্ত্রী এবং দীনেশের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।