মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র থেকে এক লজ্জাজনক ঘটনা সামনে এসেছে। বিয়ের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও সন্তান না হওয়ায় এক স্বামী তার স্ত্রীকে বড় ভাইয়ের হাতে তুলে দেন। তিন বছর ধরে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন তার ভাসুর। নির্লজ্জতার সীমা অতিক্রম করে স্বামী ও জা এর সামনেই নিজের ভাইয়ের বউয়ের সাথে গায়ের জোরে শারীরিক সম্পর্ক করতে থাকেন ভাসুর। এরপরও সন্তান না হলে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেন স্বামী। এত কিছু সহ্য করার পর অবশেষে থানায় অভিযোগ করেন নির্যাতিতা। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী, ভাসুর ও জায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
২৭ বছর বয়সী এই গৃহবধূ গোয়ালিয়র থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন। তিনি জানিয়েছেন ভিন্দের গোহাদের বাসিন্দা। ২০১৫ সালে, তার গোয়ালিয়র জেলার বিজৌলির বাসিন্দা এক ব্যক্তির সাথে বিয়ে করেছিলেন। তার স্বামী এবং এবং স্বামীর দাদা গোয়ালিয়রের একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেন। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে গোসপুরায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতে শুরু করেন মহিলা। সেখানে জা ও ভাসুরও তাদের সাথে থাকতেন।
মহিলা তার তিক্তকর অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন:
ওই নারী পুলিশকে জানান, বিয়ের দুই বছর পরও সন্তান না হলে স্বামীকে ডাক্তারের কাছে চেকআপ করাতে বললেও স্বামী ডাক্তারের কাছে না গিয়ে এড়িয়ে যেতে থাকেন। একদিন স্বামী ওই বধূকে বললেন, সন্তান চাইলে বড় ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করতে হবে। ওই মহিলা অস্বীকার করলেও ২০১৭ সালের জুলাই মাসের এক রাতে জা-ভাসুর তার ঘরে আসে। জা ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় আর ভাসুর তাকে ধর্ষণ করে।
এরপর থেকে এমনটা প্রায়শঃই হতে থাকে। জা আর স্বামী সব দেখেও কখনো কিছু প্রতিবাদ করেননি। অপবাদের ভয়ে ওই মহিলা সব সহ্য করেছিলেন। এরপরেও তিন বছর কোনো সন্তান না হলে ২০২০ সালের অক্টোবরে স্বামী ও তার বড় ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর স্ত্রীকে নিয়ে কানপুর চলে যান স্বামী। কিন্তু সেখানেও তার উপর অত্যাচার বন্ধ হয়নি। একদিন স্বামী স্ত্রীর দোষ ত্রুটি ইত্যাদি বাহানা দিয়ে তাঁকে বাড়ী থেকে বার করে দেয়। শেষ পর্যন্ত মহিলা তার মামার বাড়িতে পৌঁছে ছোট ভাইকে তার সাথে ঘটে যাওয়া নৃশংসতার কথা জানায়। এর পরে ভাই বিবাহিত দিদিকে থানায় নিয়ে এফআইআর দায়ের করেন। স্বামী, জা, ভাসুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ অন্যান্য ধারায় মামলা রুজু করে অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।