উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ থেকে এক অভিনব প্রেমের কাহিনী সামনে এসেছে। আসলে, এক প্রেমিক যুগল একে অপরের প্রেমে অন্ধ ছিলেন। কিন্তু তাদের সম্পর্কে কিছু সমস্যা এসেছিল। সেই জন্য দুজনে সিদ্ধান্ত নেন এক সাথে জীবন শেষ করার। এর জন্য তারা উপায় হিসাবে বেছে নেন নদীতে ঝাঁপ দেওয়া। নদীতে লাফ দেওয়ার জন্য প্রয়াগরাজের নৈনি সেতুতে পৌঁছন দুজনে, একসাথে বাঁচা মরার শপথ নিয়ে। নদীর ব্রিজে পৌঁছে প্রেমিকা লাফ দিলেও প্রেমিকা লাফ দেয়নি। সেটা খেয়াল করে প্রেমিকা নদী থেকে সাঁতরে পারে পৌঁছে থানায় গিয়ে প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ভাগ্যক্রমে বান্ধবী সাঁতার জানত। সে সাঁতরে নদীর ধারে যতক্ষণে পৌঁছয়, ততক্ষণে প্রেমিকা ঘটনাস্থল থেকে উধাও হয়ে গেছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রেমিকা।
আসলে এই ঘটনার পিছনের কারন অনুসন্ধান করতে গিয়ে যা জানা যায় তা হলো একজন ৩২ বছর বয়সী বিবাহিত মহিলা ৩০ বছরের এক পুরুষের প্রেমে পড়েছিলেন। দুজনের প্রেম দিনে দিন বেড়ে ওঠে এবং একে অপরের সাথে বাঁচার এবং মরার শপথ নেন। এই প্রেম তিক্ত হয়ে ওঠে যখন মহিলাটি তার সন্তানদের নিয়ে পুনে চলে যান। এ সময় প্রেমিক বিয়ে করেন। বান্ধবী পুনে থেকে ফিরে এসে প্রেমিকের বিয়ের খবর পেয়ে বেশ দুঃখ পায়। এরপর বান্ধবী তার প্রেমিককে নিজের স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে বলে।
প্রেমিকা ডিভোর্সের পর তাকে বিয়ে করার কথা বললেও প্রেমিকের আগ্রহ ছিল না। এই নিয়ে অশান্তির মাঝে, দুজনেই একসাথে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। দুজনেই প্রয়াগরাজের নতুন ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে সেখানে পৌঁছায়। এরপর প্রেমিকা নদীতে ঝাঁপ দিলেও প্রেমিক লাফ দেয়নি। প্রেমিক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
প্রেমিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলেন প্রেমিকা
এই অদ্ভুত ঘটনায় প্রথমবারের মতো এমন কিছু শোনা গেছে যে কোনো মহিলা আত্মহত্যা না করার জন্য প্রেমিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন। বিবাহিত প্রেমিকা তার বিবাহিত প্রেমিকের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ তুলে প্রয়াগরাজের কিডগঞ্জ থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ খুনের চেষ্টা, মোবাইল ফোন ক্ষতির মামলা রুজু করেছে।