মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে, এক নববিবাহিত মহিলা তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য লোকেদের বিরুদ্ধে এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন। ওই মহিলা তার উপর হওয়া যৌতুক সম্পর্কিত হয়রানির মামলা দায়ের করার পাশপাশি আরো একটি গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। ওই মহিলার অভিযোগ, তাঁর স্বামীর কিছু গুরুতর রোগ রয়েছে। যার বিষয়ে বিয়ের আগে তাঁকে বলা হয়নি।
মহিলা বলেছেন যে তার স্বামীর পুরুষত্বহীনতা রয়েছে। তিনি তার হানিমুনে গিয়ে এই বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন। মহিলার অভিযোগ, সে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বললে তারা তাকে মারধর করে এবং যৌতুকের দাবি করতে থাকে।এই বিষয়ে, মহিলা থানার মমতা ত্রিপাঠী বলেছেন যে ইন্দোরের নেহরু নগরের বাসিন্দা নির্যাতিতা অভিযোগ করেছেন যে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে উভয় পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়েছিল। বিয়েতে যৌতুক ছাড়াও পাত্রকে ৫ লাখ টাকা দিয়েছিল মেয়েটির পরিবার।
নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছেন, বিয়ের পর তিনি মুম্বাইয়ে তার শ্বশুর বাড়িতে যান। সেখানে প্রায় এক সপ্তাহ থাকেন। ওই সফরে স্বামীর সঙ্গে কোনো বৈবাহিক সম্পর্ক হয়নি। এরপর তিনি হানিমুনে গেলে জানতে পারেন স্বামী পুরুষত্বহীন। নির্যাতিতা শ্বশুর বাড়িতে বিষয়টি জানালে তাকে লাঞ্ছনা করা হয়। এ ছাড়া ১০ লাখ টাকা দাবি করতে থাকে। পাশাপাশি নির্যাতিতাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
এএসআই মমতা ত্রিপাঠী এ তথ্য জানিয়েছেন।যে ওই নবদম্পতি মুম্বাই থেকে এসেছেন এবং ইন্দোরে থাকেন। নির্যাতিতা তার স্বামীকেও মহিলা থানায় নিয়ে যান। শাশুড়ি, শ্যালিকা ও ননদইয়ের বিরুদ্ধে যৌতুকের হয়রানি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।