বলা হয় ভালোবাসার কোনো সীমানা নেই। এতে বয়স বা ধর্ম-বর্ণের কোনো বিধিনিষেধ নেই, মানুষ সঠিক বা ভুল বোঝে না। যদি তা না হতো, তাহলে একজন সচ্ছল মেয়ে কীভাবে ডাকাতের প্রেমে পড়বে? এই প্রতিবেদনে বলা প্রেমের এই গল্পটি বেশ অদ্ভুত নিঃসন্দেহে এবং এই মুহূর্তে বেশ ভাইরালও হচ্ছে ইন্টারনেটে।
২২ বছর বয়সী বেশ সচ্ছল পরিবারের ব্রিটিশ তরুণী ব্রে সাটন (Breah Sutton) ৩২ বছর বয়সী ডাকাত হার্লে ওয়েবের (Harley Webb) সাথে এত গভীর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন যে হার্লে জেল থেকে বেরিয়ে আসার সাথে সাথেই দুজনের এনগেজমেন্ট হয়ে যায়। এখন তারা একসঙ্গে নতুন জীবন শুরু করে বিয়ে করার পরিকল্পনা করছেন। তারা নিজেদের জন্য একসাথে একটি কুকুরও কিনেছে এবং একসাথে থাকার জন্য একটি বাড়িও দেখেছে।
ব্রে সাটন (Breah Sutton) নামক মেয়েটির সাথে হার্লে ওয়েবের (Harley Webb) দেখা হয়েছিল একজন বন্ধুর মাধ্যমে। অবাক করা বিষয় হার্লে পেশায় ডাকাত ছিল যেই কারণে সেই সময়টা যে লক আপে বন্দী ছিল। যে বন্ধুর মাধ্যমে তাঁর ডাকাত হার্লে ওয়েবের সাথে দেখা হয়েছিল যে হার্লেরই সেলে লক করা অন্য কোনো কয়েদীর সাথে দেখা করতে যেত। তার সাথে সেখানে যেত ব্রে সুটটন। ধীরে ধীরে তারা একে অপরের সাথে পরিচিত হয় এবং তারা ৮ মাস জেল থেকেই কথা বলতে থাকে এবং দেখা করতে থাকে। তাদের মধ্যে চিঠি-উপহার আদান-প্রদান হয় এবং করোনার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর কারাগারেই দেখা করতে থাকে। এটি আপনার কাছে অদ্ভুত শোনাতে পারে, তবে মেয়েটি তার প্রেমিকের বেরিয়ে আসার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল।
ব্রে সাটন বলেছেন যে তার বয়ফ্রেন্ড 10 জানুয়ারী জেল থেকে বের হওয়ার পর হার্লে তার সাথে প্রথম দেখা করেছিলেন। ফোন কল এবং জেল গারদের মধ্যে থেকে এত মাস দেখা করার পর তাকে মুখোমুখি দেখা ওই মেয়েটির জন্য একটি ভিন্ন অভিজ্ঞতা ছিল। পরের দিন হার্লে তাকে আতশবাজি সহকারে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং সাটন উত্তরে হ্যাঁ বলে। একজন অপরাধী এবং ডাকাত হওয়া সত্ত্বেও, হার্লির প্রতি সাটনের কোন অভিযোগ নেই এবং সে তার সাথে থাকতে চায়। বর্তমানে, এই দম্পতি লন্ডন থেকে দূরে কর্নওয়ালে একে অপরের সাথে বসবাস করছেন এবং তারা নিজেদের জন্য একটি কুকুরও কিনেছেন।