মোবাইল ফেটে মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। চার্জে বসানো মোবাইল ফোনে হঠাৎ বিস্ফোরণ থেকে আগুন লেগে মারা গেলেন ওই মহিলা। ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি থানার রামকৃষ্ণপুর এলাকায়। মৃত যুবতীর নাম শম্পা বৈরাগী। বয়স বছর ২৫। পরিবার এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শম্পা দেবীর স্বামী বাইরে কাজ করেন। বাড়িতে ছেলে কে নিয়ে একাই থাকেন শম্পা।
কিভাবে ঘটে গেল এমন মর্মান্তিক ঘটনা? সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ নিজের ঘরেই ছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গেছে মোবাইল চার্জ পয়েন্ট কানেক্ট করে বিছানায় মাথার কাছে রেখেছিলেন গৃহবধূ শম্পা বৈরাগী।
সম্ভবত মোবাইল চার্জ দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ওই গৃহবধূ। তখন হঠাৎই আচমকা বিকট একটা বিস্ফোরণের মতো শব্দ বার তিনেক শুনতে পাওয়া যায়। ব্লাস্ট করে মোবাইল ফোনটি। গুরুতর ভাবে অগ্নিদগ্ধ হন শম্পা দেবী। জখম অবস্থায় সাহায্যের জন্য আর্ত চিৎকার করতে থাকেন তিনি। আওয়াজ পেয়ে পরিবারের বাকি সদস্যারা দৌড়ে আসেন। পরিবারের লোকজন দৌড়ে এসে দেখে ঘরের দরজা না খুলে ভিতর থেকেই চিৎকার করে সাহায্য চাইছিলেন শম্পা। পরে নিজে নিজেই দরজা খুলে বেরিয়ে আসতে পরিবারের লোকজন বিভৎস ভাবে পুড়ে গিয়েছে তার শরীর।
তাঁকে সাথে সাথেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কুল্পি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকায় সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকেরা। সেখানে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে। হাসপাতালে মৃত্যু হয় গৃহবধূ শম্পা বৈরাগীর।
হঠাৎ ঘটে যাওয়া এমন দুর্ঘটনার কারণে স্বাভাবিকভাবেই শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। তবে কী কারনে মোবাইল ফোন ফেটে গেল সেটা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ওই গৃহবধূর পরিবার তরফে জানানো হয়েছে মোবাইল চার্জে লাগানো অবস্থায় হেডফোনে তিনি কথা বলছিলেন কিনা সেটা জানা যায়নি। কেননা ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের পর সম্ভাব্য অনুমান, মোবাইল ব্লাস্ট হয়ে যাওয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে ওই গৃহবধূর। কিন্তু, কী কারনে মোবাইল ব্লাস্ট হল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।