নিজের হানিমুন নিয়ে কত স্বপ্ন থাকে যে কোনো মহিলার। কিন্তু এই মহিলার জন্য নিজের মধুচন্দ্রিমা অভিশপ্ত হয়ে দাঁড়ায়। নিজের মধুচন্দ্রিমায় যাওয়া এক মহিলা ফার্মাসিস্টকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। একটি বিলাসবহুল হোটেলের বাথরুমে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ওই নারীর হত্যার পেছনে তার স্বামীর হাত রয়েছে বলে জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, হত্যার পর ওই নারীর স্বামী নৌকায় করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে একটি দ্বীপে লুকিয়ে ছিলেন তিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসের বাসিন্দা ৩৯ বছর বয়সী ক্রিস্ট জিওন চেনের মৃতদেহ গত ৯ই জুলাই পাওয়া যায়। তিনি ফিজির ইয়াসাওয়া গ্রুপ অফ আইল্যান্ডের টার্টল আইল্যান্ড রিসোর্টে অবস্থান করছিলেন। এই রিসোর্টের ভাড়া প্রতি রাতে প্রায় তিন লাখ টাকা।
ডেইলি মেইলে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী চেনের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট অনুযায়ী, তার শরীরে বেশ কিছু গুরুতর আঘাত ছিল। তার মাথায়ও জোরালো হামলার চিহ্ন পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা যাক যে চেন ৩৮ বছর বয়সী ব্র্যাডলি রবার্ট ডসনকে চলতি বছরেরই ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে করেছিলেন। এই দম্পতি তাদের হানিমুনের প্রথম দুই দিন ফিজিতে কাটিয়েছিলেন। এর পরই চেনকে খুন করা হয়। এখন এই মামলায় ব্র্যাডলিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ব্র্যাডলির আইনজীবী ইকবাল খান বলেছেন, তার মক্কেল তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৯ জুলাই চেন ও ব্র্যাডলি সকালের ব্রেকফাস্টের জন্য উঠেননি। এর পরে, তাদের দেখাশোনার জন্য উপস্থিত বাটলার তার কক্ষে যান এবং সেখানে ‘বিরক্ত করবেন না’ সাইনবোর্ড ঝোলানো দেখতে পান। কিন্তু দুপুরের খাবার খেতেও দুজনে বাইরে না এলে বাটলার আরেকটি চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভেতরে ঢোকে। বাথরুমে মহিলাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান।
হোটেল ম্যানেজমেন্ট ফিজি পুলিশ বাহিনীকে ঘটনাটি জানায়। সূত্রের খবর, চেনের মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ ব্র্যাডলির খোঁজে একটি দল মোতায়েন করে। ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দূরে মাতাকাভালেভু দ্বীপ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।