চিকিৎসা করাতে গিয়ে কোন কারণে কষ্টের চোখের জল এসে যেতেই পারে। কেননা রোগী অনেক সময় শারীরিক জটিলতা, আর যন্ত্রণা ভোগের মধ্যে দিয়ে যায়। কিন্ত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের কাছে পৌঁছে রোগীর কান্না চলে আসে এবং সে জন্য তার কাছ থেকে যদি নেওয়া হয় প্রায় তিন হাজার টাকা। অবাক লাগছে শুনে? কিন্তু টুইট করে ঠিক এমনই এক তথ্য জানিয়েছেন রোগীর বোন। এরপর তার পোস্ট ভাইরাল হয়ে যায়।
ওই ইউটিউবার জানায়, ছোট বোনের কাছ থেকে ‘আবেগ ও আচরণগত মূল্যায়নের’ নামে টাকা নেওয়া হয়েছে। কারণ তার চোখে জল ছিল। কিন্তু ডাক্তার তাকে সাহায্য করার জন্য কিছুই করেননি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বসবাসকারী ইউটিউবার ক্যামিল জনসন টুইটারে এই ঘটনার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন যে তার বোন একটি বিরল রোগে ভুগছেন এবং তার জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা পাওয়া খুব কঠিন।ক্যামিল তার বোনের হাসপাতালের বিল টুইট করে শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবং লিখেছেন- শারীরিক অবস্থার কারণে, আমার ছোট বোনের খুব সমস্যা হচ্ছিল এবং অবশেষে তিনি ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ডাক্তারের কাছে গিয়ে ইমোশনাল ব্রেক ডাউন এর জন্য কান্নাকাটি করায় আমার বোনের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা টাকা উসুল করে তারা।
ইউটিউবার আরো বলেছেন- আমার বোন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিল কারণ সে রোগজনিত কারণে হতাশ ছিল এবং অসহায় বোধ করছিল। তিনি আরও বলেন একবার ফেলার জন্য প্রায় ৩০০০ টাকা চার্জ করা হলো কিন্তু সে কেন কাঁদছিল তা জিজ্ঞাসা কেউ জিজ্ঞেস করেনি একবারও।
ক্যামিল আরও লিখেছেন – ক্লিনিক আমার বোনের কাছ থেকে রোগ মূল্যায়নের জন্য কম এবং কান্নার জন্য বেশি টাকা নিয়েছে। তিনি আরও বলেছিলেন যে তার বোনের হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত মূল্যায়ন এবং রক্ত পরীক্ষার জন্য কম টাকা এবং কান্নার জন্য বেশি টাকা নেওয়া হয়েছিল।
হাজার হাজার মানুষ ক্যামিলের পোস্টে তাদের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেছেন। একজন লিখেছেন- ওই লোকেরা জন্মের পর শিশুকে ধরার জন্যও হয়ত তার মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। তাই এতে খুব একটা অবাক হই না।