অপরাধ ভিন জাতের মেয়েকে ভালবেসে বিয়ে করা। আর সে কারণেই ছাদনাতলাতেই বেধড়ক মার জুটলো বরের কপালে। পিটালো খোদ বরের মা। এমন ঘটনাটি ঘটেছে যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে। উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর জেলার সুমেরপুর অঞ্চলের এই ঘটনা ভাইরাল হয়েছে নেট মাধ্যমে। কোনওক্রমে বরের মা’কে থামিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর জলদি সম্পন্ন করা হয় বিয়ে।
কিন্তু কেন এত রাগ! জানা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যের হামিরপুরের সুমেরপুর অঞ্চলের এর যুবক পালিয়ে গিয়ে প্রতিবেশী একটি মেয়েকে বিয়ে করেছিল। পালিয়ে গিয়ে তারা রেজিস্ট্রি করেই বিয়ে করে। দু’জনে একসঙ্গে সংসার করতেও শুরু করে। কিন্তু এই ভাবে ভিন্ন জাতের মেয়ে কে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে কোর্টে এমন ভাবে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে সেরে এক সাথে থাকায় ভীষণ ভাবে অসন্তুষ্ট ছিলেন ছেলের বাবা-মা।
তবে মেয়েটির বাবা এই পুরো ব্যাপারটা ও মেয়ে জামাইয়ের সম্পর্ক মেনে নেন। এমনকি সামাজিক বিয়ে না হওয়ায় গত 3রা জুলাই তিনি মেয়ের পছন্দ করা পাত্রের সঙ্গেই ধুমধাম করে মেয়ের বিয়ের আয়োজন করে। সুমেরপুরে একটি গেস্টহাউসে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মেয়ের বাবা তাঁর নিজের আত্মীয় স্বজন এবং বন্ধু বান্ধবদের এই বিয়েতে আমন্ত্রণও জানান। তবে সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় বরের বাবা-মা’কে বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান নি মেয়ের বাবা।
সূত্রের দাবি, আলাদা জাতে বিয়ে নিয়ে আগে থেকেই মারাত্মক অসন্তুষ্ট ছিলেন ছেলের বাবা-মা। এরপর তাঁদের বিয়েতে আমন্ত্রণ না করায় আরও অসন্তুষ্ট হন।
এই বিয়ে ঘিরে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিও তে দেখা যায় যখন বর-কনে মালাবদল করছিল সেই সময় ভিড় ঠেলে অনুষ্ঠানমঞ্চের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন একজন নারী যে নাকি বরের মা। হঠাৎ মুখে কাপড় বেঁধে নিয়ে ছেলের উপর ক্রূর্ধ আক্রোশে চড়াও হয় তিনি ও পা থেকে জুতো খুলে ছেলেকে পিটাতে থাকেন। কোনওভাবে কনের পিছনে নিজেকে আড়াল করে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে বর। পাত্র কে পাত্রের মা এর হাত থেকে বাঁচাতে ছুটে আসেন অতিথিরা। কোনওরকমে থামানো হয় বরের মা’কে। তাকে বিয়ের মণ্ডপ থেকে সরিয়ে আনা হয়। রাগে চিৎকার করতে করতে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যায়।
ঘটনার আকস্মিকতায় বন্ধ হয়ে যায় বিয়ে। পরে অবশ্য দ্রুততার সাথে সম্পন্ন হয় বিয়ে।