স্পায়ের আড়ালে নানা অবৈধ কাজ কারবার চালানোর খবর মাঝেমাঝেই প্রকাশ্যে আসে। এবারে আবারো সামনে এল স্পাতে কর্মরত এক তরুণের মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার কাহিনী। সল্টলেকের একটি স্পা-এ চাকরি হয়েছিল তরুণীর৷ কিন্তু কাজ করতে গিয়েই অন্যরকম অভিজ্ঞতার সন্মুখীন হতে হল তাঁকে৷ অভিযোগ, সল্টলেকের ওই স্পায়ের (Spa) আড়ালে রমরমিয়ে চলছে দেহ ব্যবসা৷ কর্মরত অবস্থায় প্রকাশ্যেই তাকে দেওয়া হয়েছিল অশ্লীল প্রস্তাব।
স্পায়ে কাজ করতে এসে শেষ অব্দি শ্লীলতাহানীর শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী। শুধু তাই নয় এরপর থেকে লাগাতার তার জীবননাশের হুমকি দিয়ে তাঁকে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে। কিন্তু অভিযোগ জানাতে থানায় গেলে নাকি থানায় উপস্থিত পুলিশ স্পায়ের বিরুদ্ধে তার অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। অভিযোগ না নেওয়ার জন্য বিধাননগর পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তরুণী। স্পা-তে কাজ করার জন্য গিয়েছিলেন তিনি। বিধাননগর থানা থেকে এই বিষয়ে সহায়তা না পেয়ে অবশেষে কমিশনারেটের দ্বারস্থ হয়েছেন তরুণী।
ঘটনাটি সল্টলেকের (Salt Lake FD Block) এফ ডি ব্লক-এর। অভিযোগকারিণী তরুণীর বক্তব্য অনুযায়ী, মার্চ মাসে এই স্পা সংস্থার মালিক তরুণীকে ম্যানেজার হিসাবে নিয়োগ করেন। তাঁকে সল্টলেকের বি ই এবং এফ ডি ব্লকের দু’টি স্পা সম্পর্কে বলেন এবং সেগুলি দেখান। কিন্তু কাজে যোগ দেওয়ার পর যে এমন অভিজ্ঞতা হবে কে জানত! তরুণী জানিয়েছেন কাজে যোগ দেওয়ার পর একদিন স্পাতে দু’জন গ্রাহক আসেন। সরাসরি এসে তরুণীর সঙ্গে কথা বলেন তারা। প্রকাশ্যেই কোনো রাখঢাক না করে তাঁকে অশ্লীল প্রস্তাব দেন তারা, জানতে চান তরুণীর রেট কত? তরুণী এদের প্রশ্নের কোনো উত্তর দেন না। কিন্তু এর পরেই সে বুঝতে পারে এই স্পা আসলে মধুচক্রের আসর। তরুণীকে জোর করে একজন গ্রাহকের কাছে পাঠানো হয়। সে গ্রাহক তাকে যৌন হেনস্থা করে বলে অভিযোগ করেছেন তরুণী। এর পর দিনই স্পা মালিক বাবাই ঘোষ ফোন মারফত তরুণীকে জানিয়ে দেন তাকে কাজ থেকে অপসারিত করা হচ্ছে।
তরুণী তাদের স্পা-এর পর্দা ফাঁস করার চেষ্টা করছে জানতে পেরে স্পা মালিক বাবাই ঘোষ আবারো তাকে ফোন করে। ফোন করে তরুণীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এই সমস্ত ঘটনায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তরুণী। এরপর বিধান নগর থানায় নাকি অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখান থেকে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। জানা গেছে নিজের প্রাণ ভয়ে অবশেষে বিধাননগর কমিশনারেটের দারস্থ হন তরুণী। পুলিশের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আইনের কাছ থেকে সুবিচার চাইছেন যৌন হেনস্থার শিকার ওই তরুণী।