রাজ্য সরকার এখনও লোকাল ট্রেন চালু না-করলেও ‘স্টাফ স্পেশাল’ বা কর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা বেড়েছে। ট্রেন বাড়ায় স্বভাবতই বেড়েছে হকারের সংখ্যাও। কিন্তু করোনা আবহে রেলের হকারেরা করোনা বিধি মানছেন না বলে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সামাজিক মাধ্যমে অভিযোগ ওঠে। তাই চলন্ত ট্রেনে ও প্ল্যাটফর্মে নাকি হকারি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এই জল্পনা শুনে অনেকেরই প্রশ্ন, তা হলে কি করোনা আবহে ট্রেনে হকারি নিষিদ্ধ হয়ে গেল?
এর আগে এক সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছিল হকারদের বিরুদ্ধে বিভাগের অধীনে সমস্ত আরপিএফ আধিকারিকদের হকারদের ধরতে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।কর্মীদের বিশেষ লোকাল ট্রেন ছাড়াও, আরপিএফ দূরবর্তী ট্রেনগুলিতেও নজর রাখবে। ট্রেন ও রেল চত্বরে হকার দেখলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই খবর শোনা মাত্র হকারদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাঁদের দাবি, এমনিতে বিক্রি খুব কমে গিয়েছে। আর এখন যদি ট্রেনেই উঠতে দেওয়া না হগয়, তা হলে তো মারা পড়ব। খাব কী! এই সিদ্ধান্ত মানা যায় না। এটা সরাসির পেটে লাথি। কিন্তু সত্যিই কি আজ থেকে হকার দের দেখা মিলবে না? কি জানাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ?
লোকাল ট্রেন এখনও চালু হয়নি। তবে অতিমারিতে রেলে হকারদের হকারি করতে কোনও বাধা নেই। কিন্তু করোনা বিধি মেনেই তাঁদের হকারি করতে হবে বলে রবিবার জানিয়ে দিয়েছেন রেলের আধিকারিকেরা।
রেলের আধিকারিকেরা জানান, রেলে হকারি নিষিদ্ধ না-হলেও অবৈধ হকার ধরার জন্য রেল যে-অভিযান চালাচ্ছে, তা যথারীতি চলবে। সেই সঙ্গেই মাঝেমধ্যে আচমকা বিভিন্ন ট্রেনে উঠে দেখা হবে, হকারেরা মাস্ক পরে হকারি করছেন কি না। কিছু ক্ষণ অন্তর হাত স্যানিটাইজ় বা জীবাণুমুক্ত করা এবং অন্যান্য করোনা বিধি তাঁরা মানছেন কি না, দেখা হবে তা-ও।