আপনার নিশ্চই মনে আছে ২০২০ শুরুর দিকে মার্চ এপ্রিলের সময় পুরো বিশ্ব বাড়িতে বন্দি ছিল। একটু যদি ভেবে দেখেন তাহলে বলতে হয় প্রায় ৭০০ কোটি মানুষ গৃহবন্দী। বর্তমানেও পরিস্থিতি খুব একটা সহজ হয়নি। বাড়িতেই যেন গোটা অফিস চলে এসেছে ওয়ার্ক ফ্রম হম। আর বাড়ি যেন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে কর্মীদের সাথে তার পরিবারেরও। বিশেষ করে স্ত্রীদের, স্বামী বাড়ি বসে আর কয়েক দিন কাজ করলে স্ত্রীরা পাগল হয়ে যেতে পারে তাদেরকে সম্ভাবনা এটাই।
ভারতের এক নারী বাড়িতে বসে অফিস করার জেরে স্বামীর ঘনঘন চা-কফির আবদারে অধৈর্য্য হয়ে শেষে স্বামীর অফিসে বসের কাছেই আবেদন পত্র পাঠিয়েছেন। দাবি, বন্ধ করা হোক হোম অফিস।
তথ্য থেকে জানা গেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির, মনোজ ওই নারীর স্বামীর নাম। সংসার ওই মহিলার স্বামী এবং দুই সন্তান নিয়ে। পরিচারিকার বাড়িতে আসা বন্ধ করেছেন করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে। স্বামী কর্মরত বেসরকারি সংস্থায়। অফিসের কাজ সারেন বাড়িতেই একটি ঘরে বসে। তিনি কর্মরত ভারতের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান আরপিজি এন্টারপ্রাইজে । মনোজের স্ত্রী ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হর্ষ গোয়েঙ্কািকে চিঠিতে জানান, করোনার কারণে এখন দিনে ১০ বার চা-কফি খান তার স্বামী বাড়িতে বসে অফিস করায়। ঘনঘন খাবারের আবদার সেই সাথে তো আছেই। তাছাড়া, বাড়ির সব ঘরের লাইট জ্বালিয়ে রাখেন তিনি সারাদিন বাড়িতে থেকে অফিস করায়, ঘরও থাকে অগোছালো।
তাঁর একটাই আরজি, এবার অফিসে ডেকে নেওয়া হোক স্বামীকে কাজের জন্য । নেওয়া হয়ে গিয়েছে স্বামীর করোনা ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজই বলেও চিঠিতে জানান ওই মহিলা।
বিশেষ সময় লাগেনি মহিলার এই চিঠি ভাইরাল হতে। চিঠিটি শেয়ার করেছেন হর্ষ গোয়েঙ্কা (Harsh Goenka)। ছড়িয়ে পড়েছে যা ঝড়ের গতিতে। স্বামীর বস মহিলার দাবি মেটালেন কিনা, তা জানা যায়নি। তবে যে সকলকেই নির্ভেজাল আনন্দ দিচ্ছে স্বামীর বসকে পাঠানো চিঠির বয়ান, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।