জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটাসঅ্যাপ। আধুনিক স্মার্টফোনের যুগে সকলেই একে অপরের সাথে যোগাযোগ রাখতে ভরসা রাখেন এই অ্যাপে। মেসিজিং অ্যাপের নেশায় মেতে রয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। কিন্তু এই চ্যাটের নেশায় বাঁধা পড়তে রীতিমত মেরে স্বামীর দাঁত ভেঙ্গে দিলেন মহিলা! হ্যাঁ একজন ব্যাক্তির তরফে ঠিক এমনই অভিযোগ দায়ের হয়েছে শিমলার থানায়। সম্প্রতি বাংলা সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বেরিয়েছে এই খবর। জানা গেছে থানায় অভিযোগ জানিয়ে স্ত্রীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ‘নিগৃহীত’ স্বামী।
স্বামীকে মারধরের এই ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার। আর তারপর দিনই শুক্রবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্বামী। অভিযোগে পুলিশকে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী মোবাইল ফোনের নেশায় বুঁদ। সারাদিন চ্যাট করতে থাকেন হোয়াটসঅ্যাপে। বৃহস্পতিবার তার স্ত্রী যখন অন্যান্যদিনের মতন হোয়াটসঅ্যাপে ডুবে ছিলেন ছিলেন, তখন আপত্তি জানিয়ে বাঁধা দেন। এতেই ভয়ানক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্ত্রী। স্বামীকে এলোপাথাড়ি ঘুঁষি মেরে তাঁর দাঁত ভেঙে দেন। তারপরেও ক্ষ্যান্ত হননি স্ত্রী। জানা গিয়েছে, স্বামীকে লাঠি দিয়ে মারাত্মক ভাবে পিটিয়েছেন শিমলার ওই মহিলা। এমনকি আক্রান্ত স্বামীকে এই ঘটনার পর শুশ্রুষার জন্যে হাসপাতালেও নিয়ে যেতে হয়েছিল। চিকিৎসকের কাছ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর প্রেসক্রিপশন নিয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে সেখান থেকেই সটান থানায় হাজির হন ‘নিগৃহীত’ সেই ব্যাক্তি। তার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নথিভূক্ত করে থিয়োগ থানার পুলিশ।
শিমলার থানার সুপার মণিকা জানান, স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। কেন ওই মহিলা এহেন কাজ করলেন তা তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হবে। জানা গিয়েছে, এই নিগ্রহের ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর উঠে এসেছে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে। যেমন, কেন নিজের স্ত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটে করতে বাধা দিয়েছিলেন তার স্বামী? ঘটনার সময় তিনি কার সঙ্গে চ্যাট করছিলেন। ঘটনায় কোনো বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের যোগাযোগ আছে কিনা। ইত্যাদি নানা সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অভিযুক্ত মহিলাকে এই বিষয়ে খুব শিগগিরিই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার স্বামীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে খবর। এর পাশাপাশি আশে পাশের বাড়ির লোকেদের সঙ্গেও কথা বলবে পুলিশ। সব দিকই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন এমনটাই জানিয়েছে শিমলা থানার পুলিশ।