নিজের স্ত্রীর গোপন ভিডিও তুলে সেটি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল স্বামীর! শুধু তাই নয়, হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি স্ত্রীকে শারীরিক নিগ্রহ পর্যন্ত করেছেন ওই ব্যক্তি এমনটাই অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালো দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে যে , প্রবীর খাঁ ওই অভিযুক্ত স্বামীর নাম। স্ত্রীয়ের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে নরেন্দ্রপুরের প্রবীর খাঁ এর। আর এই মামলা চলার সময় প্রবীর বেধড়ক মারধর করে তার স্ত্রীকে, আর অশ্লীল ছবি তুলে সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে হুমকি দেয়। নির্যাতিতা জানিয়েছে এই ঘটনায় অভিযুক্তের সাথে তার পিসিও জড়িত রয়েছে। নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ প্রবীর খাঁ এর স্ত্রীয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জানা গিয়েছে যে , নরেন্দ্রপুরের প্রবীরের সাথে ওই এলাকার পাশের এলাকার ওই মহিলার বিয়ে হয় আজ থেকে পাঁচ বছর আগে। তাদের বাড়ি থেকে দেখাশোনা করেই বিয়ে হয়। সম্প্রতি তাদের মধ্যে অশান্তি প্রচন্ড বেড়ে যায় আর সেই কারণেই তারা বিবাহ বিচ্ছেদের দিকে এগিয়েছে। এরমধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও করেছে তারা। আর এই মামলা চলার সময় কালের মধ্যেই প্রবীর তার স্ত্রীকে ডেকে আনে বাড়িতে আর সেখানেই প্রচন্ড মারধর করা হয় তাকে আর তার অশ্লীল ভিডিও বানানো হয়। পাশাপাশি ওই মহিলাকে ওই বাড়িতে আঁতকে রাখারও অভিযোগ উঠেছে। এরপর কোনও রকমে প্রবীরের স্ত্রী সেখানকার আসে পাশের বাসিন্দাদের সাহায্যে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। আর সেদিন রাতেই নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ করেন প্রবীরের স্ত্রী।
প্রবীরের স্ত্রী পুলিশের কাছে বয়ান দিয়েছে যে , “ আমি কখনও সুখী ছিলাম না বিয়ের পর থেকে। এখন বেআইনি কাজ করছে প্রবীর। তাই ডিভোর্স চেয়েছিলাম। মিউচুয়াল ডিভোর্স এ রাজিও হয়েছিল প্রবীর এর পাশাপাশি উকিল আলাদা থাকতে বলেছেন আমাদের। আমরা এই কারণেই আলাদা থাকতে শুরু করি। ডিভোর্সের কাগজে সই করতে হবে বলে শুক্রবার সকালে আমাকে বাড়িতে ডাকে। প্রবীর গেট বন্ধ করে দেয় আমি বাড়ির ভিতরে ঢুকতে না ঢুকতেই এবং মারধর করে। প্রবীরের পিসিও সঙ্গে ছিল। মারধর করেছে দুজনে মিলে। ঘরে আটকে রেখেছিল আমাকে। একটু ফাঁকা পেতে সন্ধ্যায় চিৎকার করি। প্রতিবেশীরা এসে আমাকে তখন বের করে নিয়ে যায়।”
প্রবীর বেধড়ক মারধর করে প্রায় অচৈতন্য করে তাঁর অশ্লীল ভিডিও করে ঘরে আটকে রাখার সময়ই এবং সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয় যখন আমার জ্ঞান ফেরে এমনটাই অভিযোগ প্রবীরের স্ত্রীর। গোটা ঘটনা নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে।