ফতেহাবাদের তোহানায় ২৮ বছর বয়সী যুবক সঞ্জয় ওরফে সঞ্জুর খুনের ঘটনায় বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রী তার প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামী সঞ্জয়কে নৃশংসভাবে খুন করেছে। দুজনকেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঘটনাটি জামালপুর শেখান গ্রামের।
জানা গেছে, গত দুই বছর ধরে বিকাশ ওরফে মনু নামে এক যুবকের সঙ্গে সঞ্জয়ের স্ত্রী নিকিতার পরকীয়া চলছিল। সঞ্জয় দুজনকেই সন্দেহ করত কিন্তু নিকিতা সব সময় বলত মনুর সঙ্গে তার কোনো বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নেই। কিন্তু গত ১৫ই জুলাই, সঞ্জয় নিকিতাকে মনুর সাথে দামকোরা রোডে হাতেনাতে ধরে ফেলে। সঞ্জয়কে দেখে মনু তাকে মারধর শুরু করে। মারধরের কারণে সঞ্জয় অজ্ঞান হয়ে যায়। এরপর নিকিতা ও মনু সঞ্জয়কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে, এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
দুজনে তখনই লাশ ফেলে দিতে খালের পাড়ে পৌঁছায়। কিন্তু সেখানে অনেক লোক ছিল, যার কারণে তারা দুজনেই ভয় পেয়ে যায় এবং যে কাজে পৌঁছেছিল তা করতে পারেনি। এরপর দুজনেই সঞ্জয়ের মৃত্যুর বানোয়াট গল্প তৈরি করে লাশ নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছায়। সেখানে মহিলা ডাক্তার ও চিকিৎসা কর্মীদের বলেন যে নিকিতা সঞ্জয়ের সাথে কোথাও যাচ্ছিল, তখন বাইকে আরোহী তিনজন লোক নাকি পিটিয়ে হত্যা করে সঞ্জয়কে।
অভিযুক্ত দুজনই অপরাধ স্বীকার করেছে:
দুজনের এই গল্পে পুলিশ সন্দেহ হলে তাদের কড়া জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুজনেই পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে থাকলে শেষ পর্যন্ত দুজনেই হত্যার কথা স্বীকার করে। তোহানার ডিএসপি শাকির হোসেন জানান, নিকিতাকে আদালতে হাজির করে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত মনুকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঘটনার বিষয়ে আরো তদন্ত করছে পুলিশ।