একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর সবজি টমেটো। এখন সারা বছর পাওয়া যায় টমেটো শীতকালীন সবজি হলেও। দুভাবে টমেটো খাওয়া যায় কাঁচা কিংবা পাকা। টমেটোর জুড়ি মেলা ভার খাবারের স্বাদ বাড়াতে। আবার অনেকে সালাদে টমেটো খেয়ে থাকেন।
রোজ বাড়িতে টমেটো আসবেই বাজার থেকে। এই সবজটি অনেকে ভালোবাসেন। তবে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা ততটা পছন্দ করেন না টমেটো। সে যাই হোক, সালাডে হোক কি একগ্লাস টমেটোর জুস , প্রত্যেকেরই উচিত রোজ টমেটো খাওয়া। কেন?
টমেটোর জুসকে সুপার ফুড বলা হয়। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল এতে রয়েছে। টমেটো পুষ্টিতে ভরপুর। এতে আছে ভিটামিন এ, সি, কে, ফলেট এবং পটাসিয়াম প্রচুর পরিমাণে। টমেটো থেকে আরও থায়ামিন, নায়াসিন, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং কপার পাওয়া যায়। আপনার শরীর সুস্থ রাখতে টমেটোর জুসের জুড়ি মেলা ভার।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে- রোজ একগ্লাস করে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে টমেটোর জুস খেলে। টমেটোর জুসে ফাইবার রয়েছে প্রচুর পরিমাণে যা রক্তে LDL বা ব্যাড কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়।
ওজন কমায়- টমেটো দেহে জলের পরিমাণ বাড়িয়ে ভারসাম্য বজায় রাখে। আপনার খিদে মিটিয়ে রাখে এই জুস খেলে। ফলে ওজন কমতে সাহায্য করে এবং শরীরকে দুর্বলবোধ করতে দেয় না।
ত্বকের জন্য ভালো- রোজ একগ্লাস করে টমেটোর জুস খাওয়া অবশ্যই উচিত দাগমুক্ত ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে চাইলে। টমেটোর জুস চামড়ার ট্যান দূর করে, দূর করে ত্বকের কালো ছোপ। সেইসঙ্গে নিরাময় করে অ্যাকনে ও ব্রণ। বুজিয়ে দেয় রোমকূপ। তৈলাক্ত ত্বকের সিবাম ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
অ্যান্টি এজিং – মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে এবং বয়সের ছাপ দূর করতে টমেটো বেশ কার্যকর। এর রস মুখের ত্বক মসৃণ ও কোমল করে। বয়স বাড়তে থাকলে মানুষের মুখে যে বয়সের ছাপ পড়ে, তা টমেটো দেওয়ার ফলে লুকাতে সাহায্য করে সেই ছাপ।
রক্তস্বল্পতা কাটাতে – সাহায্য করে রক্তস্বল্পতা দূরীকরণে। টমেটো বেশ উপকারী যাঁরা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য। রক্তস্বল্পতার সমস্যা অনেকটাই দূর হতে পারে প্রতিদিন এক বা দুইবার টমেটো খেলে।
আস্থমায় উপকারি – লাইকোপেন এবং ভিটামিন এ টমেটোর মধ্যে রয়েছে । যা সাহায্য করে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে।