পশ্চিম দেশগুলির পোশাক-পরিচ্ছদ বা সংস্কৃতি সবসময় নতুন নতুন উপায়ে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, আমাদের দেশেও অনেকেই এই সংস্কৃতিকে অনুসরণ করে। কিন্তু মাঝেমধ্যে পশ্চিমা সংস্কৃতির কিছু কাহিনী মানুষকে অবাক করে। সম্প্রতি, একটি অনলাইন প্রতিবেদনে নিজের কাহিনী শেয়ার করার সময়, একটি মেয়ে জানিয়েছে যে সে একজন কফি বিক্রেতা। এইটুকু পরে নিশ্চয়ই ভাবছেন এতে আর অবাক হবার কি আছে? কিন্তু কফি বিক্রেতা ওই মেয়েটির বিশেষত্ব হলো সে শুধুমাত্র বিকিনি পরেই কফি বিক্রি করে (Serve coffee in lingerie)। এর কারণও জানিয়েছেন মেয়েটি। তার এই কাহিনীটি ভীষণভাবে ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে।
আসলে, ডেইলি স্টার তাদের একটি অনলাইন প্রতিবেদনে এই মেয়েটির সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছে। মেয়েটির নাম বারিস্তা গ্রেস (Barista Grace)। নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে নিজের ছবিও শেয়ার করেছেন তিনি। মেয়েটি সব সময় নানা সেক্সী বিকিনি এবং লঞ্জারি (lingerie) পরেই কফি সার্ভ করেন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মেয়েটি আমেরিকার একটি কফি ক্যাফেতে কাজ করে এবং এই ক্যাফের সংস্কৃতি হল এখানে শুধুমাত্র বিকিনি পরা মেয়েরাই কফি বিক্রি করতে পারে। পিঙ্ক সুগার এক্সপ্রেসো (Pink Sugar Espresso) নামের এই ক্যাফেতে কাজ করা বারিস্তা গ্রেস বলেন, মাঝে মাঝে তিনি অর্ধ-নগ্ন হয়ে অর্থাৎ শরীরে সুতোর সমান বিকিনি পরে গ্রাহকদের কফি দেন। এই কাজ করার কিছু ইতিবাচক আর নেতিবাচক দিক আছে।
ক্যাফেতে কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে, বারিস্তা ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন যে কখনও কখনও তিনি শুধুমাত্র অন্তর্বাস পরে ক্যাফেতে আসা লোকেদের কাছে পানীয় বা কফি পরিবেশন করেন। তিনি এই কাজে বিরক্ত হন না, তবুও তিনি ব্যক্তিগতভাবে মাঝে মাঝে এই কাজ কঠিন বলে মনে করেন। কেননা তার পোশাকের জন্য মাঝেমধ্যে তাঁকে নানা মন্তব্য এর শিকার হতে হয়।
বারিস্তা গ্রেসি মাঝে মাঝে নিজের হাতে কফি তৈরি করে গ্রাহকদের পরিবেশন করেন। যদিও তিনি সবসময় গ্রাহকদের সাথে ভালো ব্যবহার করেন তা সত্বেও কখনও কখনও কিছু গ্রাহক অদ্ভুত দাবি রাখে এবং তাদের উপেক্ষা করা ছাড়া উপায় থাকে না। এই কারণে সেইসব গ্রাহকরা তাকে টিপস পর্যন্ত দেন না মাঝে মাঝে।
তিনি বলেন যে তিনি তার কাজ উপভোগ করেন কারণ তিনি শুধুমাত্র টাকা ইনকামের জন্য এই ক্যাফেতে ওয়েট্রেস। কিন্তু প্রায়ই মানুষ তার সম্পর্কে ভুল ভাবে। তাঁকে কিছুটা অন্যরকম নজরে দেখে বিকিনি পরে কফি পরিবেশন করার জন্য। গ্রেসি বলেছেন যে লোকেরা বুঝতে পারে না যে তার কাজ কফি তৈরি করা এবং গ্রাহকদের কাছে এটি পরিবেশন করা ও তাদের সাথে হাসিমুখে ব্যাবহার করা। বিকিনি পরার জন্য গ্রাহকেরা মাঝে মাঝে আমার কাছ থেকে একটু বেশি কিছুই প্রত্যাশা করে , গ্রেসি জানান।
একটি ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বরিস্তা বলেন, একবার এই বিকিনি ক্যাফে তে তার স্কুলের এক বন্ধুর বাবা এসেছিলেন। তিনি মোটা অঙ্কের টিপস দিয়েছিলেন কারণ তিনি চাননি তার মেয়ে তার এই কফি শপে আসার খবর জানুক। তিনি আরও বলেন যে তার পেশায় ভাল দেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গ্রেসী জানান, কলেজের পড়াশোনা শেষ করতে টাকার প্রয়োজন তাই তিনি এই ক্যাফেতে যোগ দিয়েছিলেন। সেই সময়ে, তার অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা ছিল না। কিন্তু ক্যাফেতে যোগদানের কয়েক মাস পরে, তিনি নিজের অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে সক্ষম হন এমনকি ভ্যাকেশন কাটাতে গিয়েছিলেন।
যাই হোক না কেন বারিস্তা গ্রেসি তার কাজ নিয়ে বেশ খুশি। লোকে তার সম্পর্কে কি ভাবছে বা কি কথা বলে সে তার চিন্তা করে না। তিনি তার ক্যাফের নিয়ম অনুসরণ করে. ড্রেস কোড এবং আচরণ সঠিকভাবে মেনে চলেন। কারণ দিনের শেষে এর জন্য তিনি অনেক টাকা পান।