কোনো পুরুষের স্বপ্নদোষ হলো তার ঘুমের মধ্যে বীর্যপাতের অভিজ্ঞতা। এটাকে অনেকে ‘ভেজাস্বপ্ন’ নামেও অভিহিত করে। সাধারণত যেসব ছেলে বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছয় তেমন ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেদের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সময়ের বছরগুলোতে স্বপ্নদোষ খুব সাধারণ। যুক্তরাষ্ট্রে একটি সমীক্ষায় দেখা যায় প্রায় ৮৩% পুরুষ জীবনে কোনো না কোনো সময় স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন। তবে শুধু বয়ঃসন্ধিকালেই এমনটা হয় তাই নয়। এরপরে যেকোনো বয়সে, যেকোনো সময়ই স্বপ্নদোষ হতে পারে। এমনটা হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। জেনে নিন সেগুলি কি কি?
স্বপ্নদোষ কেন হয় এই সম্পর্কিত একটা সাধারণ ধারণা আছে যে যৌন উত্তেজক স্বপ্নের কারণেই এমনটা হয়ে থাকতে পারে, আবার নাও পারে। পুরুষদের পুরুষাঙ্গের উত্থান ছাড়াই স্বপ্নদোষ ঘটতে পারে। একে ‘সেক্স ড্রিম’ বলে। এছাড়াও আরো অনেক কারণ আছে।
বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হলে শরীরে হরমোন নিঃসরণের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এসময় পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন তৈরী আর ক্ষরণ হওয়া শুরু করে, যা পুরুষের শরীরে স্পার্ম তৈরীতে সাহায্য করে। এই বীর্য শরীরের যৌনাঙ্গে জমা হতে থাকে। এটি মাঝে মাঝে শরীর থেকে বের হওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তাই স্বপ্নদোষের মাধ্যমে বের হয়ে যায়।
আবার অনেক যৌন বিশেষজ্ঞের ধারণা কম হস্তমৈথুন করেন এমন পুরুষদের স্বপ্নদোষ বেশী হয়।
এছাড়াও যেসকল পুরুষেরা টেস্টোস্টেরন জাতীয় ওষুধ সেবন করেন তাদের শরীরে অত্যধিক মাত্রায় স্পার্ম উৎপাদন হওয়ার জন্য স্বপ্ন দোষের মাত্রা বেড়ে যায়।
এই সমস্ত কারণ ব্যতীত আরো নানান কারণ যেমন পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্তি, সেক্সের বিষয়ে অতিরিক্ত চিন্তা ভাবনা, ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই বিষয়ক চিন্তা ভাবনার কারণেও স্বপ্ন দোষ হতেই পারে।