আপাতত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমছে। কিন্তু এক্ষুনি এর বিপদ এড়ানো যাবে বলে মনে যাচ্ছে না। গত মাসের তুলনায় সেখানে চলতি মাসে ওমিক্রন বিএ.২ এর নতুন সংক্রমনের সংখ্যা বেড়েছে। ওমিক্রনের কারণে যেকোনো সময় করোনা ভাইরাসের প্রকোপ আবারও বেড়ে যেতে পারে। Omicron এর নতুন সাবভেরিয়েন্ট BA.2 ( BA.2 Omicron) এর ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়া নিয়ে ইতিমধ্যেই সাবধান করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। উল্লেখ্য, কোভিডের কারণে যে দুটি দেশ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত তাদের নাম ভারত ও আমেরিকা। আর এই দুই দেশেই কোভিড বিধির উপর থেকে বিধি নিষেধ তুলে দেওয়া হয়েছে অনেকটাই। আর জানা গিয়েছে অনেক দেশে করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। জাপানের নতুন ল্যাবরেটরি পরীক্ষাগুলি এই বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয় যে BA.2 Omicron এর বৈশিষ্ট্য গুলি এমনই যাতে এটি করোনার সমস্ত পুরানো রূপগুলি থেকে গুরুতর রোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম। ওমিক্রনের এই রূপটি প্রথম ফিলিপাইনে 2021 সালের নভেম্বরে উদ্ভূত হয়েছিল।
বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ওমিক্রন এর এই উপ-ভেরিয়েন্ট ভ্যাকসিন দ্বারা অর্জিত ইমিউনিটি কাটিয়ে উঠতে পারে এবং পূর্বের সংক্রমণ থেকে শরীরে পাওয়া ইমিউনিটিকেও ফাঁকি দিতে পারে। অনেক গবেষক বলেছেন যে এই ভাইরাস টিকা নেওয়া ব্যক্তিদেরও আক্রমণ করছে। যদিও গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে যাদের উভয় টিকা নেওয়া আছে তাদের তুলনায় যারা কোনও ভ্যাকসিন পাননি তাদের ঝুঁকি বেশি।
কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ভাইরোলজিস্ট ডেভিড হো-এর গবেষণায় বলা হয়েছে যে উভয় ধরনের ওমিক্রনই টিকা নেওয়া বা আগে সংক্রামিত ব্যক্তিদের মধ্যে অ্যান্টিবডি নির্মূল করার ক্ষমতা রাখে।
ZOE কোভিড স্টাডি অ্যাপ অনুসারে, ওমিক্রন সাবভেরিয়েন্টের বৈশিষ্ট্যগুলি তার মূল প্রজাতি ওমিক্রনের মতো। তবে এর কিছু লক্ষণ পাকস্থলীতেও দেখা যায়, যা ডায়রিয়ার মতো। এই লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, বমি, পেটে ব্যথা, পেট জ্বালা ইত্যাদি। যদি আমরা এর সাধারণ উপসর্গগুলি সম্পর্কে কথা বলি, তাহলে নিচে উল্লেখিত উপসর্গগুলিকে উপেক্ষা করা উচিত নয়।
• সর্দি
• সবসময় ক্লান্ত বোধ
• মাথাব্যথা
• নতুন করে অবিরাম কাশি
• শ্বাসকষ্ট বা শ্বাস নিতে অসুবিধা
• পেশী বা শরীরের ব্যথা
• স্বাদ বা গন্ধ বোধের ক্ষতি
• গলা ব্যথা
• বমি বমি ভাব বা বমি
• ডায়রিয়া