করোনার নতুন এক প্রজাতি ওমিক্রন (Omicron) এখন দুনিয়া জুড়ে সকলের আলোচ্য বিষয়। বহু বার নিজের স্পাইক প্রোটিনে পরিবর্তন ঘটিয়ে এই ওমিক্রন স্ট্রেন হয়ে উঠেছে মারত্মক সংক্রামক। এই স্ট্রেনটির হদিশ প্রথম মেলে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বতসোয়ানায়। এতদিন যাবৎ SARS-CoV-2 -এর প্রতিটি নতুন নতুন রূপান্তরিত প্রজাতির নাম গ্রীক বর্ণমালার অক্ষরের সাথে তাল মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই গ্রীক বর্ণমালার ক্রম অনুযায়ী আবিষ্কৃত এই নতুন প্রজাতি B.1.1.529 এর নাম হওয়া উচিত ছিল ‘ন্যু’ (Nu)। কিন্তু অদ্ভুত ভাবেই এর নামকরনের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) মানলেন না বর্ণমালার ক্রম। শুধু ‘ন্যু’ (Nu) নয় এড়িয়ে গেলেন পরবর্তী গ্রীক বর্ন (Xi) ও। কিন্তু কেন? উঠে আসছে এর পেছনে চীনের প্রভাবের তত্ত্ব। কি সেই তত্ত্ব?
চলতি বছরে করোনার অতি সংক্রামক ভেরিয়েন্ট, বি.১.১.৫২৯ (B.1.1.529) যার নাম রাখা হয় ডেল্টা (Delta) সেই প্রজাতি ভারতের পাশাপাশি সারা বিশ্বে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তার প্রভাব স্তিমিত হতে না হতেই দেখা দেয় করোনা উপস্থিত হয়েছে নতুন আরেক রূপে। এতদিন অব্দি যে পদ্ধতি অনুসরণ করে করোনার ভেরিয়েন্টগুলির নামকরণ হয়েছে তাতে এই প্রজাতির নাম ‘ন্যু’ হওয়া উচিত হলেও নাম রাখা হল ওমিক্রন। এড়িয়ে যাওয়া হল ‘ন্যু’ পরবর্তী বর্ন ‘শাই’ ও। আর এর কারণ হচ্ছে যদি ওমিক্রণ এরপরেও নতুন করোনা প্রজাতি আসত তার নাম রাখতে হত Xi বা শাই। বস্তুত, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর (XI Jinping) প্রথম নামের বানান আর শাই (Xi) এর বানান এক। এতে সৃষ্টি হতে পারত বিতর্ক। এমনিতেই চীনই প্রথম দেশ যেখান থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে চিনের প্রেসিডেন্টের নামে করোনার কোনো প্রজাতির নাম রেখে আর অস্বস্তি বাড়াতে চায়নি WHO।
কিন্তু এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কে? চীনকে আড়াল করতেই কি এমন সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।