Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

দেশের দৈনিক সংক্রমণ ছুঁল রেকর্ড সংখ্যা! ২৪ ঘন্টার ব্যাবধানে আক্রান্ত প্রায় ১.৫ লাখ লোক

বড়দিন, মেলা আরো নানান শীতকালীন উৎসবের ডিসেম্বর মাস কাটিয়ে নতুন বছর পড়তেই দেশে স্বমহিমায় ফিরেছে করোনা। আবারও হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এর কারণ দুমাস আগে সাউথ আফ্রিকায় খোঁজ মেলা করোনা ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন।

ওমিক্রন তার অতিসংক্রামক ক্ষমতা নিয়ে যেভাবে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে প্রমাদ গুনছে স্বাস্থ্য মহল। দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। প্রতিদিনই দেখা যাচ্ছে এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে প্রকাশিত শনিবার এর রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৮৬ জন। যা তার আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবারের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২৪ ঘন্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ২৮৫ জনের। দেশের এই দৈনিক পরিসংখ্যান কপালে ভাঁজ ফেলার জন্য যথেষ্ট বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে, একদিনে করোনা কে জয় করে সেরে উঠেছেন ৪০ হাজার ৯৮৫ জন। দেশে এই মুহূর্তে করোনা পজিটিভ হওয়ার রেটও অত্যন্ত বেশি। বর্তমানে করোনা সংক্রমণের হার ৯.২৮ শতাংশ।

দেশে Omicron পরিসংখ্যান:

সকল করোনা আক্রান্তের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা না হলেও বোঝাই যাচ্ছে অধিকাংশ আক্রান্তই সংক্রমিত ওমিক্রন দ্বারা। করোনার এই নতুন প্রজাতিতে আক্রান্তের সংখ্যার খোঁজ এই যাবৎ মিলেছে ৩০৭১ জনের মধ্যে। সবচেয়ে বেশি ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে মহারাষ্ট্রে। সেখানে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮৭৬ জন। এরপরই নাম রয়েছে দিল্লির। দিল্লীতে মোট ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে ৫১৮। পশ্চিমবঙ্গে এখনও অবধি ওমিক্রনে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে ২৭ জনের শরীরে। তার মধ্যে সেরে উঠেছেন ১০ জন।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য অনুযায়ী ওমিক্রণে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার হার অনেকটাই কম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস অধানোম ঘেব্রেয়েসাস এর মতে সারা বিশ্বজুড়ে ক্রমশই নিজের থাবা মজবুত করছে ওমিক্রণ। সংক্রমণ রোগ ছড়াচ্ছে আগুনের গতিতে। মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন , আক্রান্ত হচ্ছেন। ডেল্টা কে সরিয়ে আস্তে আস্তেই মূল করোনা প্রজাতি রূপে জায়গা নিচ্ছে ওমিক্রণ।

করোনার এই রূপ সংক্রামক ওমিক্রণ কে প্রায় রোখা অসম্ভব। তবে কেউ কেউ এই সংক্রমণকে শাপে বর মনে করছে। কেননা এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ওমিক্রণ তথা করোনা কে ঠেকানোর অ্যান্টিবডি তৈরী হবে আশা তাদের। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে ওমিক্রনকে হালকা ভাবে নিলেই মহা ভুল করবেন সকলে। এখনও অব্দি পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ডেল্টার তুলনায় এর মারন ক্ষমতা কম হলেও ভবিষ্যতে যে এর হাত ধরে বড় কোন বিপদ আসবে না সে বিষয়ে কেউ জানে না। তাই সাবধান হবার মধ্যেই রয়েছে বুদ্ধিমত্তা।

Related posts

মঞ্চে খুলে গেল পোশাক, দৌড়ে মান ইজ্জত বাঁচালেন অর্ধ্বনগ্ন গায়িকা! ভাইরাল ভিডিও

News Desk

তিনবার অস্ত্রোপচারের ফল, চেন্নাইয়ের এক ব্যাক্তির দেহে মিলল পাঁচটি কিডনি!

News Desk

অ্যারেস্ট হওয়ার সময় মমতা ব্যানার্জির নাম কেন বলেছেন পার্থ? ক্রুদ্ধ তৃণমূল জানালো প্রতিক্রিয়া

News Desk