দেড় বছর ধরে করোনার কারণে নাজেহাল গোটা দুনিয়া। মারণ ভাইরাসের হাত থেকে কি করে মিলবে রক্ষা, এই নিয়ে প্রশ্ন সকলের মুখে। ওষুধ , ভ্যাকসিন যাই আসুক না কেন , সব থেকে বেশি চিকিৎসকরা গুরুত্ব দিচ্ছেন যে জিনিস কে তা হল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এমনকি যারা এই ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদেরকেও সেরে উঠতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্যবিদরা।
করোনায় সংক্রমিত হলে কমে শারীরিক শক্তি। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও হ্রাস পায়। তাই করোনা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর শরীর কে সুস্থ করতে আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বেশী বেশী করে প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে বলছেন চিকিৎসকরা। এমন কারণেই বিক্রী বেড়েছে কড়কনাথ মুরগির (kadaknath chicken)।
আর করোনা আবহে বেশ ভালো লাভের মুখ দেখছেন এই মুরগির প্রতিপালকরা। করোনার আবহে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ও কোভিড পরবর্তী একাধিক শারিরীক সমস্যা মেটাতে কড়কনাথ মুরগি খাওয়া অনেক উপকারী। সম্প্রতি এই নিয়ে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারকে (ICMR) কে চিঠি দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের কড়কনাথ রিসার্চ সেন্টার।
কড়কনাথ রিসার্চ সেন্টারের গবেষকরা দাবি করছেন, কড়কনাথ মুরগী শরীরে ইমিউনিটি বাড়ানোর ক্ষেত্রে কতখানি কার্যকরী! গবেষণা বলছে, এই মুরগীর মাংসতে আছে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন, ভিটামিন আর জিঙ্ক। এছাড়াও, ফ্যাট কম থাকায় শরীরে চর্বিও জমে না।
কলেস্ট্রোল ফ্রি হওয়াতেও এই মুরগী খাওয়া পুরোপুরি স্বাস্থ্যকর। তাই কড়কনাথ মুরগিকে করোনা ডায়েট এর মধ্যে নিয়ে যাওয়া যায়। পাশাপাশি গবেষণা করে গবেষকরা জানিয়েছেন কড়কনাথ মুরগির ডিমে থাকে বেশি প্রোটিন আর অন্যান্য পুষ্টিগুণও।
এই তথ্য সামনে আসতেই রাতারাতি বেড়েছে এই মুরগীর চাহিদা। বিশেষত পাহাড়ে দেদার বিকোচ্ছে এই মুরগি। পাহাড়ে কড়কনাথ মুরগির মাংস ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শুধু তাই নয় কড়কনাথ মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৫০ টাকা করে। কড়কনাথ প্রজাতির মুরগির মাংস অন্যান্য প্রজাতির মুরগির মাংসের তুলনায় অত্যন্ত সুস্বাদু এবং প্রোটিনে ভরপুর।