সকালে ঘুম ভাঙলে বেশিরভাগ পুরুষই অনুভব করেন ঘুমের মধ্যে অজান্তেই দৃঢ় হয়ে ওঠেছে তাদের পুরুষাঙ্গ। স্বভাবতই এই নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়েন অধিকাংশ পুরুষ। অল্প বয়স থেকে বেশি বয়স, সব বয়সের পুরুষের মধ্যেই সকালবেলা ঘুম ভাঙলে পুরুষাঙ্গ এর দৃঢ়তা প্রায় প্রাত্যহিক ঘটনা। এইভাবে সকালবেলা যৌন উত্তেজনা নিয়ে পুরুষাঙ্গ দৃঢ় হয়ে ওঠার ঘটনা অনেকের পক্ষে চরম অস্বস্তিকর বলে মনে করা হয়। রাতের বেলার সময়টি সেক্স বা যৌন উত্তেজনার জন্যে আদর্শ সময় বলে মনে করা হলেও সকালবেলা পুরুষদের এমনটা বেশী কেন হয়? এর উত্তর জানাচ্ছেন বিজ্ঞান। আসলে এর পুরো ব্যাপারটা দাড়িয়ে আছে শরীরের হরমোন ক্ষরণের উপর। সারাদিনের নানা সময়ে নারী-পুরুষের দেহে যৌন অনুভূতি সৃষ্টিকারী হরমোন ক্ষরণের মাত্রা থাকে বিভিন্ন। এমনটাই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
পুরুষদের যৌন উত্তেজনা বেশি হয় সকালবেলার দিকে। কারন একেবারে সকালবেলা অর্থাৎ সকাল ৫টা থেকে ৭টার মধ্যে পুরুষের দেহে যৌনতা সৃষ্টিকারী হরমোন ক্ষরন অন্যান্য সময়ের চেয়ে প্রায় ২৫ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়ে যায়।
চিকিত্সা বিজ্ঞান বা মেডিক্যাল সাইন্সে পুরুষদের সকালবেলা এই ভাবে শারীরিক পরিবর্তন হয়ে পুরুষাঙ্গ দৃঢ় হয়ে ওঠাকে nocturnal penile tumescence (NPT) নাম দেওয়া হয়েছে। এই ভাবে শারীরি রিয়াকশন বা প্রতিক্রিয়া করার পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে বলে জানাচ্ছে চিকিত্সা বিজ্ঞান।
আসলে যৌণ উত্তেজনা থেকে শরীরের সমস্ত প্রতিক্রিয়াই নির্ভর করে মস্তিষ্কের নির্দেশ উপর। মস্তিষ্কের দেওয়া সিগনালের ফলেই মানব শরীরের সবকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নড়াচড়া করে। মানুষ যখন গভীর ঘুমে থাকে তখন সেই নিয়ন্ত্রণে কিছুটা শিথিলতা আসে। মস্তিষ্কের নির্দেশ এড়িয়ে সেই সময় স্বাধীনভাবে আচরণ করে পুরুষাঙ্গ। এই কারণেই বেড়ে যায় সেক্স হরমোনের ক্ষরণও কোনো বাস্তবিক যৌণ উত্তেজনা ছাড়াই। এই কারণে ঘুম থেকে ওঠার পরে পুরুষের টেস্টোস্টেরোন ক্ষরণের মাত্রা শরীরে থাকে সর্বাধিক। সারাদিনের প্রায় ২৫ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ সেক্স হরমোন ক্ষরণ এই সময় হয়। এর পরে যত বেলা হয় সঙ্গে সঙ্গে যৌন হরমোনের মাত্রা হ্রাস পায়।