এসো মা লক্ষ্মী বসো ঘরে, আমার এ ঘরে থাকো আলো করে। দুর্গা ঠাকুর কৈলাস যাত্রা করার পরেও কিন্তু বাঙালির উৎসবের বেজাজ থাকে অটুট। কারণ তারপরেই হয় লক্ষ্মীর আরাধনা। ধন-সম্পত্তির অধিষ্ঠাত্রী দেবী লক্ষ্মী হলেন সবার প্রিয়। তাঁর শান্ত, স্নিগ্ধ রূপ সত্যিই মনোহর। লক্ষ্মীপুজোর অপরিহার্য অঙ্গ হল লক্ষ্মী পূজার আলপনা। লক্ষ্মী পুজোয় প্রতিটি গৃহস্থলীর দালান থেকে শুরু করে ঠাকুরের সিংহাসন পর্যন্ত সেজে ওঠে ফুল ও আলপনায়। যা শাস্ত্র মতে অত্যন্ত শুভ। কিন্তু এই আলপনা কেন দেওয়া হয়, কখনই বা দেওয়া হয় সেই তথ্য অনেকেরই অজানা। এই প্রতিবেদনে রইল সেইসবই অজানা তথ্য।
আলপনা দেওয়ার কারণ-
কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর সঠিক সময় হল সন্ধ্যে বেলা। শাস্ত্র মতে কথিত আছে পূর্ণিমার রাতে আলো আঁধারিতে এই হাতে দেওয়া আলপনা দেখেই মা লক্ষ্মী বুঝতে পারেন কোন বাড়িতে তার আরাধনা হচ্ছে। আর সেই মতো সেই বাড়িতে এসে তিনি অধিষ্ঠান করেন। অর্থাৎ এক কথায় আলপনা হলো মা লক্ষ্মীর আপ্যায়ন। তাই এই বিশ্বাস থেকেই যুগ যুগ ধরে সম্পদের দেবীর আরাধনায় আলপনা দিয়ে আসছেন বাড়ির গৃহিনীরা।
কোন নকশা লক্ষ্মী পুজোয় দেওয়া হয়?
আলপনার নকশা বা ডিজাইন লক্ষ্মী পুজোর সময় করা হয়, তার মধ্যে সেরার সেরা হল এই লক্ষ্মীর পা ও ধানের ছড়ার ডিজাইন। এটিকে যদিও ঠিক আলপনার মধ্যে ফেলা যায় না। তবে লক্ষ্মীপুজোর আলপনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটি। বাড়ির গৃহিণীরা এটি আঁকেন একদম দরজার সামনে থেকে শুরু করে যেখানে লক্ষ্মীর ঘট পাতা আছে বা মূর্তি রাখা আছে সেই ঠাকুরের আসন পর্যন্ত। মনে করা হয় মা লক্ষ্মী স্বয়ং আস্তে-আস্তে পা ফেলে বাড়ির চৌকাঠ পেরিয়ে যেখানে মূর্তি আছে সেখানে অধিষ্ঠান করেন।
কীভাবে দেবেন?
বাঙালি লক্ষ্মীপুজোয় (Laxmi Puja) মূলত চালের গুঁড়ি কিংবা মুলতানি মাটি জলে গুলে হাতে কিংবা তুলির সাহায্যে আলপনা আঁকা হয়। বঙ্গে আলপনা দেওয়া হয় আতপচাল বেটে তাকে বলা হয় ‘পিটুলি’। তবে আজকাল দীর্ঘ সময়ের জন্য আলপনা দিতে চাইলে বেছে নিন অ্যাক্রিলিক রঙ।