ছত্তিশগড়ের যশপুর জেলায় সম্প্রতি এমন এক ঘটনা ঘিরে প্রশ্ন উঠছে সরকারি আশ্রম ও হোস্টেলের নিরাপত্তা নিয়ে। জেলার গার্ডেন ডেভেলপমেন্ট ব্লকের অন্তর্গত সরকারি শিশু আশ্রম গুরমহাকোনায়, আশ্রমের এক কর্মচারী এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে রাতভর সময় কাটাচ্ছিলেন। আসলে, গোটা বিষয়টি সামনে আসে যখন গ্রামবাসীরা এই আশ্রমে চাকরি করা এক সার্বক্ষণিক ঝাড়ুদারকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে, সঙ্গে এক মহিলাও ছিল। এরপর তাদের আটকে রেখে সকালে হোস্টেল সুপার, সরপঞ্চ ও গ্রামবাসীরা মিলে দুজনকেই আশ্রম থেকে বের করে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অবহিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
ঘটনাটি বাগানের গুরমহাকোনা সরকারি শিশু আশ্রমের, যেখানে ত্রিলোচন যাদবের বাবা, আশ্রমের সার্বক্ষণিক ঝাড়ুদার নবীন যাদব রবিবার রাত ৯টার দিকে এক মহিলাকে নিয়ে আশ্রমে পৌঁছান। তিনি সেখানে নাইট ডিউটি করতেন এবং আরেক কর্মচারী বুধনাথের কাছ থেকে আশ্রমের চাবি নিয়ে ভিতরে চলে যান। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, দু’জনেই আপত্তিকর অবস্থায় আশ্রমের ভিতরে রাতভর একসঙ্গে থাকেন। আশ্রম কমিটির সভাপতি আশ্রমের সুপারিনটেনডেন্ট সুরেশ রামকে বিষয়টি ফোনে জানান রাত ৩টের দিকে।
![](https://dainiksangbad.com/wp-content/uploads/2022/06/Screenshot_2022-06-07-20-14-32-51_40deb401b9ffe8e1df2f1cc5ba480b12-1024x723.jpg)
আশ্রমে ত্রিলোচন যাদবের সঙ্গে ধরা পড়া ওই মহিলার স্বামীও ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিজের চোখে সবকিছু দেখলেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যায়। আসলে, মহিলা বাজারে বেরিয়ে স্বামীকে বাস মিস হওয়ার কথা বলেন। জানান অটোতে বাড়ি ফিরে আসবেন। এদিকে মহিলা বাড়িতে না পৌঁছালে স্বামীও খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তার সন্দেহ হয়, ওই মহিলা গুরমহাকোনা আশ্রমে গিয়েছেন। স্বামী জগরনাথ আশ্রমে পৌঁছে ত্রিলোচন যাদব ও মহিলাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান।
বলা হচ্ছে, ওই কর্মচারী প্রতিদিনই আশ্রমে এই ধরনের অশ্লীলতা করেন। সকালে আশ্রমের সুপারিনটেনডেন্ট সরপঞ্চ ও অন্যান্য গ্রামবাসীদের ডেকে তাদের আশ্রম থেকে বের করে নিয়ে যান এবং পঞ্চনামা করার সময় বিষয়টি শীর্ষ কর্মকর্তাদের জানান। বর্তমানে আশ্রম সুপার মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে কর্মচারীর ভাতা স্থগিত করার দাবি জানিয়েছেন। আশ্রম হোস্টেলে বর্তমানে কোনো শিক্ষার্থী নেই। কিন্তু তাও আশ্রমে এই ধরনের অনৈতিক কাজ গোটা ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।