গত ২৬শে জুন উত্তর প্রদেশের বান্দার চিল্লা গ্রামে ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত এক কৃষকের মৃত্যু হয়। গ্রামবাসীসহ ক্ষুব্ধ স্বজনরা থানায় পৌঁছে এই নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করে। তারা অভিযোগ করেন, পুলিশ প্রথমে অভিযুক্ত ট্রাক্টর চালককে ধরে, পরে ছেড়ে দেয়।
উত্তর প্রদেশের বান্দা জেলায় কৃষকের মৃত্যুর পর পুলিশের তৎপরতার অভাবে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা প্রবল উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। কৃষকের মৃতদেহ নিয়ে শত শত লোক ও মহিলা থানায় পৌঁছে ধর্না দেয়। স্বজনদের অভিযোগ, ট্রাক্টর চালককে ধরার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ জনগণ বলছে আমাদের ন্যায়বিচার দাও, নতুবা আমাদেরও মেরে ফেলো।
সড়ক দুর্ঘটনায় কৃষকের মৃত্যুর পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি জেলার প্রশাসন বলে অভিযোগ। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন মদনপুর গ্রামের কৃষককে একটি ট্রাক্টর মাড়িয়ে গুরুতর আহত হয়। আশেপাশের লোকজন পুলিশকে খবর দিলে আহত কৃষককে ১০৮ এম্বুলেন্সে করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থার কারণে কৃষককে কানপুরে রেফার করা হয়। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ওই কৃষকের মৃত্যু হয়। কৃষকের মৃত্যুর পর তার মৃতদেহ নিয়ে সোজা থানায় যায় পরিবার। সেখানে ট্রাক্টর চালককে না দেখতে পেয়ে তাদের রাগ যেন সপ্তম আকাশে পৌঁছে যায়। তারা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, ইচ্ছা করেই অভিযুক্ত চালককে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে।
স্বজনরা বলছেন, থানায় মামলা করা হলেও চালককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে এসডিএম ও ডিএসপি পুলিশ বাহিনীসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লোকজনকে শান্ত করা শুরু করেন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বোঝানোর পর লোকজন ধর্না শেষ করে। একই সঙ্গে তিনি নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।