করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতে খোঁজ মিলেছিল প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের নতুন দুই ভ্যারিয়েন্ট – এর। এবারে এদের নতুন নাম করণ করলো হু (WHO)।
সোমবার ওই দুই করোনা প্রজাতির নতুন নামকরণের কথা হু তরফে ঘোষণা হয়। জানানো হয় এ বার থেকে বি.১.৬১৭.১ প্রজাতিকে ‘কাপ্পা’ এবং বি.১.৬১৭.২ প্রজাতিকে ‘ডেল্টা’ এই নাম করণ করা হল।
গ্রীক বর্নমালা মিলিয়ে এই নাম করণ হল।
ডেল্টা হল গ্রিক বর্ণমালার চতুর্থ বর্ণ। আর ‘কাপ্পা’ হলো গ্রিক বর্ণমালার দশম বর্ণ।
উল্লেক্ষ্য ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে ভারতে দুটি নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাসের খোঁজ মেলে। প্রাথমিকভাবে বিজ্ঞানীরা এর নাম রেখেছিল বি.১.৬১৭.১ এবং বি.১.৬১৭.২। বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি গত প্রায় ২ মাসে ভারতে করোনা সংক্রমিতের লাল রসের নমুনা পরীক্ষা করে যে করোনা প্রজাতির উপস্থিত পাওয়া গেছে তার প্রায় ৭০ শতাংশই বি.১.৬১৭.১ এবং বি.১.৬১৭.২ ভ্যারিয়েন্ট। এর মধ্যে বি.১.৬১৭.২ ভ্যারিয়েন্ট ভারতে দ্রুত হারে বিস্তার করেছে।
ভারতে দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ার কারণে সারা পৃথিবীর অনেক জায়গায় এই নতুন প্রজাতির ভাইরাসকে অনেকে ‘ভারতীয় প্রজাতি’ নামেও ডাকা শুরু করেছিল। সারা পৃথিবীর বহু নিউজ, মিডিয়া থেকে সাধারণ মানুষ, অনেক ক্ষেত্রেই ব্যাবহার হতো করোনার ইন্ডিয়ান স্ট্রেন (Indian strain of Covid) এই শব্দটি। এতেই তীব্র আপত্তি প্রকাশ করে কেন্দ্র। এই আপত্তি ঘিরেই সোমবার ভারতে খোঁজ পাওয়া করোনার প্রজাতির নাম বদলে ‘ডেল্টা’ ও ‘কাপ্পা’ রাখলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
এর আগে ব্রিটেনে যে প্রজাতির খোঁজ মিলেছিল হু তার নাম রেখেছিল ‘আলফা’। দক্ষিণ আফ্রিকায় খোঁজ মেলা করোনা প্রজাতির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘বিটা’। ২০২০ এর নভেম্বরে ব্রাজিলে করোনাভাইরাসের যে প্রজাতির অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে তার নাম ‘গামা’ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷
হু টেকনিক্যাল বিভাগের প্রধান ডক্টর ম্যারিয়া ভান (Dr. Maria Van) অবশ্য জানান, ‘নতুন নামকরণের সাথে বিজ্ঞানসম্মত নামের কোনো যোগ নেই।