কোভিড-১৯ (COVID-19) এর তৃতীয় ঢেউ প্রায় শেষের পথে। ২০২২ এর শুরুতেই ওমিক্রনের প্রভাবে যে ভাবে ভারতে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছিল তাতে আতঙ্কিত হয়েছিল মানুষ। এখন আবার করোনার সংক্রমণ দ্রুত কমতে দেখে মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। কিন্তু করোনার আতঙ্ক কাটেনি। আইআইটি কানপুরের বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন যে করোনার চতুর্থ ঢেউ আসতে চলেছে। কবে নাগাদ আসতে পারে সে বিষয়ে ও সতর্ক করছেন তারা। জেনে নিন বিস্তারিত।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন করোনা কোথাও চলে যায়নি। আপাতত সংক্রমণ কমায় কিছুটা স্বস্তি আসতে পারে তবে তা বেশিদিন স্থায়ী হবে না। বিশেষজ্ঞদের দ্বারা করা এক গবেষণা এমনটাই নির্দেশ করছে। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) কানপুরের গবেষকরা একটি সমীক্ষায় বলেছেন যে ভারতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ (Covid 19 Fourth Wave India) 22শে জুনের কাছাকাছি আসতে পারে এবং আগস্টের মাঝামাঝি নাগাদ এটি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে।
আইআইটি কানপুরের বিজ্ঞানীরা এক গবেষণার পর এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন। গবেষণায় একটি পরিসংখ্যানগত মডেল ব্যবহার করা হয়েছে এবং এর ফলাফলগুলি এমনটাই ইঙ্গিত দেয় যে পরবর্তী করোনা ভাইরাসের ঢেউ প্রায় চার মাসের কাছাকাছি স্থায়ী হবে।
এই গবেষণা অনুসারে, যে ডেটা পাওয়া গেছে তা এটাই ইঙ্গিত করে যে ভারতে কোভিড -১৯ এর চতুর্থ ঢেউটি প্রাথমিক ডেটা হাতে পাওয়ার তারিখ থেকে ৯৩৬ দিন পরে আসবে। এবং এই তারিখটি ছিল ৩০ জানুয়ারী, ২০২০। তাই মনে করা হচ্ছে করোনা চতুর্থ ঢেউ ২২ জুনের কাছাকাছি শুরু হতে পারে। আগস্টের মাঝামাঝি বা শেষ নাগাদ এই সংক্রমনের ঢেউ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। যাইহোক, ভারতে করোনা চতুর্থ ঢেউয়ের তীব্রতা নির্ভর করবে ভাইরাসের প্রজাতি এবং কোভিড টিকাকরণের উপরও।
আরেকটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে কোভিডের পরবর্তী রূপটি দুটি ভিন্ন উপায়ে হানা দিতে পারে। এছাড়াও, নতুন ভেরিয়েন্ট যে আগের ভেরিয়েন্টের থেকে কম গুরুতর হবে তার কোন গ্যারান্টি নেই।
কিভাবে আছড়ে পড়বে চতুর্থ ঢেউ? প্রথম সম্ভাবনা হল ওমিক্রন আবারও বাড়তে থাকবে, সিয়াটেলের ফ্রেড হাচিনসন ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টারের ভাইরোলজিস্ট জেসি ব্লুম বলেছেন, যে কিছু ধরণের ওমিক্রন-প্লাস ভেরিয়েন্ট তৈরি হয়েছে, যা BA.1 বা BA.2 এর থেকেও সংক্রামক। আরেকটি সম্ভাবনা হল একটি নতুন করোনা প্রজাতি আসতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সম্প্রতি সতর্ক করেছে যে ওমিক্রন শেষ কোভিড প্রজাতি নাও হতে পারে এবং পরবর্তী রূপটি আরও সংক্রামক হতে পারে।