আমরা লেবু খেয়ে খোসাটা ফেলে দেই ডাস্টবিনে বা আবর্জনা মনে করে ফেলে দেই। কিন্তু এবার এই ধারণা আপনার পাল্টাতে হবে। কারণ যত উপকার আপনি পাবেন পাতি লেবুতে ঠিক ততটাই উপকার যাচ্ছে।
আমরা ক্যান্সার কে মরণ রোগ হিসেবে জানি। আর লেবুর খোসা এই মারণ রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। চিকিৎসকদের মতে লেবুর খোসা যদি আমরা চায়ের সাথে মিশিয়ে খেটে পারি তবে প্রতিরোধ করা সম্ভব আমাদের শরীরের ক্যানসার কোষ তৈরি হওয়া।
আমাদের নানারকম ব্যস্ততায় কাটে প্রতিটি দিন। তা বাড়ির বাইরে হোক কিংবা বাড়িতেই। কিন্তু আমাদেরও প্রয়োজন পড়ে দিনশেষে বিশ্রামের। লেবুর খোসা ব্যবহার করতে পারেন নিজেকে সতেজ রাখার জন্য। কীভাবে? যদি রিফ্রেশিং স্নান করা যায় দিনশেষে তাহলে নিজেকে একদম ঝরঝরে লাগবে। স্নান করার জলে কয়েক টুকরো পরিষ্কার লেবুর খোসা দিয়ে দিন। আপনার পছন্দের কোনো বাথ সল্ট সঙ্গে মেশান। কয়েক ফোঁটা যেকোনো সাইট্রাস ফ্লেবারের এসেনশিয়াল অয়েল আরও মেশান। ক্লান্তি তো কাটবেই, ঘুমও হবে ভালো এই জলে স্নান করলে।
পাতি লেবুর খোসা গুঁড়ো করে তার সঙ্গে অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান মিশিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক যদি প্রায় দিনই মুখে লাগানো যায়, বিশেষজ্ঞদের মতে, তাহলে একাধিক উপকারী উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে ত্বকের ভিতরে ভিটামিন সি এবং ফাইবার সহ, যে কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা তো বাড়েই, সঙ্গে দাগ-ছোপ দূর হতেও সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, পাতি লেবুর খোসার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে ত্বককে (Skin) নরম এবং তুলতুলে করে তুলতেও।
লেবুর খোসা দাঁতের জন্যেও খুবই উপকারী প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকার জন্য। লেবুর খোসা দাঁতের বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধ করে।
লেবুর খোসা বাসন-পত্রের গায়ে লেগে থাকা গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। লেবুর রস বের করে নেয়ার পর থালা-বাসন ঘষতে পারেন সেই খোসা দিয়ে। তাতে সুন্দর একটি গন্ধ আসবে বাসনে লেগে থাকা দুর্গন্ধ দূর হয়ে। লেবুর খোসা বেশ কার্যকরী বিশেষ করে কাঁসার থালাবাসন পরিষ্কার করতে।