করোনার জেরে থমকে গিয়েছিল গোটা দেশ। দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাতে অর্থনীতির হাল করুণ হয়ে ওঠে। টিকাও অমিল ছিল বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। আসতে আসতে সংক্রমন কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশ। যোগান বাড়ছে করোনা টিকার। তাও আপনিও যদি করোনা টিকার স্লট পেয়ে থাকেন তাহলে জেনে নিন আপনার টীকা নেওয়ার আগের দিন কি খাবেন , কি খাবেন না। কেনই বা সঠিক খাওয়া দাওয়ার প্রয়োজন আছে।
যে কোনও টিকার কোনও না কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় দেহে। করোনা টিকারও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো অবশ্য ভীষণ স্বাভাবিক ব্যাপার এবং টিকাকরণের পর অত্যন্ত জরুরিও। এতে ভয়ের কোনও কারণ না থাকলেও শরীরকে বেশ কাহিল করে দিতে পারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই সঠিক পুষ্টির দিকে একটু নজর দিতেই হবে। টিকা নেওয়ার এক সপ্তাহ আগের থেকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। তবে যেদিন ভ্যাকসিন পাবেন তার আগের দিন বেশ কিছু নিয়ম মানতে হবে। দিনভর কী খাবেন তার একটা তালিকা রইল।
রসুনের কোয়া একটু থেতো করে সকালে খেয়ে নিন। দিন শুরু করতে পারেন হার্বাল চা খেয়ে। আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গ, দারুচিনি, তুলসিপাতা, তালমিচরি ইত্যাদি ফুটিয়ে হার্বাল চা বানিয়ে নিন। দিনে ২-৩ বার খান। এতে শরীর গরম থাকবে। টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তে অনেকের হালকা গা গরম হতে পারে। তা থেকে আরাম মিলবে।
সেদিন কোনো ফাস্ট ফুড বা প্রসেস্ড ফুড খাবেন না। এর বদলে বাড়িতে বানানো পুষ্টিকর খাবার যেমন চিড়ের পোলাও , সুজি, মুড়ি-আম-কলা, ডিম সেদ্ধ-রুটি ইত্যাদি সহজপাচ্য খাবার জল খাবারে রাখুন।
দুপুর বা রাতেও কম তেল মশলার রান্না খান। পাতলা মাছের ঝোল খান। ভাত, ডাল-তরকারি ইত্যাদি খান। টিকা নেওয়ার আগের দিন কোনো ভাবেই রেড মিট খাবেন না। তেলেভাজা, চিপ্স, চপ এইসব খাবারও এই দিনটায় পুরোপুরি এড়িয়ে যাবেন। কেক পেস্ট্রি, কুকি এসবেও না। মদ্যপান একদম করবেন না।
রাতে হালকা খাবার যেমন চাল – ডালে হালকা খিচুড়ি বা দালিয়ার খিচুড়ি অথবা রুটি-তরকারি খেতে পারেন। তবে রাতের খাবার খেতে দেরি করবেন না।
ভাক্সসিন নেওয়ার আগের দিন প্রচুর পরিমাণে জল অবশ্যই খাবেন। ডাবের জল খেতে পারলেও ভালো।
আর নজর রাখবেন রাতের ঘুমের দিকে। তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন। ভাল করে ঘুমেরও প্রয়োজন এইদিন।