করোনাভাইরাস মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে মানুষ অনলাইনে নিজের কাজ থেকে পড়াশোনা সবই করছে। প্রথম দিকে, সকলেই এটি বেশ উপভোগ করেছিল কারণ তারা ঘরে বসে স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিল, তবে যত দিন এগোল তারা অনলাইন ক্লাস বা কাজের অসুবিধার দিক গুলো বুঝতে পারছিল। তখন থেকে মানুষজন বিরক্ত হতে শুরু করে। অনলাইনে কাজ করার একটি অসুবিধা হল যে লোকেরা প্রায়শই অনলাইন কলের সময় তাদের ভিডিওটি বন্ধ করতে বা মিউট করতে ভুলে যায় এবং তাদের এমন কিছু অনেকের কাছে দৃশ্যমান হয়ে দাঁড়ায় যা দেখা উচিত ছিল না।
সম্প্রতি, অস্ট্রেলিয়ায় একই রকম কিছু একটা ঘটেছিল যখন ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Western Sydney University, Australia) একজন অধ্যাপক ঘটনাক্রমে একটি জুম কলে স্টুডেন্টদের সামনে আপত্তিকর কিছু জিনিস দেখিয়ে ফেলেন। (Professor played some adult content while he was on a online class in Zoom)। ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক জুম কলে ক্লাস নিচ্ছিলেন। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলছিল। বক্তৃতায় দুই অধ্যাপক ও স্টুডেন্টরা উপস্থিত ছিল। দীর্ঘক্ষণ ক্লাস নেওয়ার পর একজন অধ্যাপক কিছু সময়ের জন্য বিরতি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি যে ভুলটি করেছিলেন তা হল বিরতি নেওয়ার সময়, তিনি প্রেজেন্টেশন অপশনটি বন্ধ করেননি বা তিনি তার ক্যামেরাটিও বন্ধ করেননি। বিরতি শুরু হওয়ার সাথে সাথেই, হঠাৎ তিনি একটি অ্যাডাল্ট ওয়েবসাইট খুলে বসেন (College professor opened adult website by mistake)। সেই ওয়েবসাইটে মজুত ছিল প্রাপ্তবয়স্কদের নানা কনটেন্ট এবং ভিডিও ইত্যাদি। আর সেগুলি সকলের সামনেই দৃশ্যমান ছিল। প্রেজেন্টেশন অপশন চালু থাকায় স্ক্রিনটিও স্টুডেন্ট রাও দেখতে পারে। এসব দেখে সকলে স্তব্ধ হয়ে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক শিক্ষার্থীর বাবা জানিয়েছে যে তার মেয়েও ওই সময় জুম ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন। এ নিয়ে সে ভীষণ লজ্জিত এবং অপমানিত বোধ করে। এমনকি সে কলেজ থেকে নাম কাটাতে চায়। বাবা বলেছেন, মেয়ে তার অধ্যাপককে তার বাবা-মায়ের সমান বলে মনে করে এবং তার এমন কাজের জন্য তিনি খুব কষ্ট পেয়েছেন। এ খবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পৌঁছালে সবাই হতবাক। অবিলম্বে, অধ্যাপক, যিনি ২০১৫ সাল থেকে কলেজে ইংরেজি পড়াচ্ছিলেন, তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।