Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

সম্পত্তি হাতাতে তৈরী হল জীবিত বৃদ্ধার ডেথ সার্টিফিকেট! রেজিষ্ট্রির চেষ্টা করতেই পড়লেন হাতেনাতে ধরা

অনেক মানুষ আছেন যারা সম্পত্তি জনিত কারণে মানুষকে খুন করতেও পিছপা হন না। আর এই ক্ষেত্রে তো এক জীবন্ত মানুষকেই মৃত ঘোষণা করে দিয়েছে। এই সম্পত্তি হস্তগত করতেই এক অসহায় বৃদ্ধার ‘জাল ডেথ সার্টিফিকেট এর সাথে শংসাপত্র বের করে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ। এমনকি ওই ব্যক্তি এই বৃদ্ধার আত্মীয়! শুধু তাই নয়, কোনও রকম খতিয়ে না দেখেই ডেথ সার্টিফিকেট কিভাবে দিয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার ধরমপুর গ্রামের ৭৪ বছর বয়সী অন্নপূর্ণা পাঁজা’র সাথে এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে। এই প্রতারকের নাম সুদর্শন মল্লিক।

ওই বৃদ্ধা নিজের সন্তানদের নিয়েই শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। তার সুযোগ নিয়ে ওই বৃদ্ধার বাপের বাড়ির এলাকায় পড়ে থাকা সম্পত্তি হাতাতে ওই জীবিত বৃদ্ধার ডেথ সার্টিফিকেট বের করে এক ব্যাক্তি জালিয়াতির চেষ্টা করেছে। বৃদ্ধার ছেলেদের থেকে সম্পত্তি রেজিষ্ট্রির জন্য নামান্তর পর্বে তথ্য যাচাই করতে যেতেই আধিকারিকরা জানতে পারেন ডেথ সার্টিফিকেটে দেখানো ২০ বছর আগে মৃত বৃদ্ধা বেঁচে রয়েছেন বহাল তবিয়তে।

স্বামী রাসবিহারী পাঁজা ও তিন ছেলের সংসারে থাকেন ওই বৃদ্ধা ধরমপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে। অন্নপূর্ণা পাঁজার ছেলেদের দাবি, তাঁদের দাদুর (অন্নপূর্ণা পাঁজার বাবা) গড়বেতার ফতেগড় গ্রামে রেখে যাওয়া কিছু সম্পত্তি ও জমি জায়গা রয়েছে। দাদুর দুই মেয়ে, একজন মারা গিয়েছেন তারমধ্যে। বর্তমানে অন্নপূর্ণা পাঁজা অপর মেয়ে তথা তাঁদের মা জীবিত রয়েছেন। দাদুর কোনও ছেলে না থাকায় এখন বাপের বাড়ির পড়ে থাকা সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকার তাঁদের মা অন্নপূর্ণা পাঁজাই বলে দাবি বৃদ্ধার ছেলেদের।

কমল কুমার পাজাঁ বৃদ্ধার ছেলের অভিযোগ, “ফতেগড় গ্রামের বাসিন্দা সুদর্শন মল্লিক নামের ব্যক্তি মায়ের বাপের বাড়ির পড়ে থাকা সম্পত্তি হাতানোর জন্য ভুয়া শংসাপত্র বের করে প্রতারণার চেষ্টা করছে । মা অন্নপূর্ণা পাঁজার নামে ডেথ সার্টিফিকেট বের করা হয়েছে গড়বেতার আমশোল গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে । এছাড়াও তাঁদের মায়ের নামে বিভিন্ন দপ্তর থেকে ভুয়ো শংসাপত্র বের করে মায়ের বাপেরবাড়ির সম্পত্তি হাতানোর চেষ্টা করেছেন সুদর্শন মল্লিক। তাঁদের মায়ের বাপেরবাড়ির জমিজায়গা নিজের নামে করার জন্য বেশ কিছুদিন আগে সুদর্শন মল্লিক গড়বেতা ৩ নং বিএলআরও দপ্তরে জমির রেকর্ডের জন্য আবেদন করেন এবং সুদর্শন মল্লিকের প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারেন বৃদ্ধা অন্নপূর্ণা পাঁজার ছেলেরা দপ্তর থেকে এনকোয়ারি করতে গেলে।

আর অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে, সেই সুদর্শন মল্লিক অবশ্য তাঁর ভুলের কথা স্বীকার করে বলেন, ” সম্পর্কে তাঁর পিসি হন অন্নপূর্ণা পাঁজা। আগে তাঁরা নিজেরা চাষ করতেন তাঁর বাপের বাড়ির পড়ে থাকা একটি জমি। কিন্তু তাঁরা জমিটি আমাকে ছেড়ে দেন পয়সা নিয়ে। তিনি বহু বছর ধরে চাষ করছেন সেটি। তিনি আবেদন করেন সেই জমির কাগজ না থাকায়। কিন্তু মঞ্জুর করেনি দপ্তর থেকে।

আমশোল গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বৃদ্ধার ছেলেরা এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায়। একজন বৃদ্ধা, এখনও স্বামী এবং ছেলেদের নিয়ে যিনি জীবিত অবস্থায় রয়েছেন, গ্রাম পঞ্চায়েত ডেথ সার্টিফিকেট তাঁর নামে কী করে ইস্যু করে?

Related posts

লুকিয়ে স্পার্ম ডোনেট করতেন বাস্তবের ‘ভিকি ডোনার’! হঠাৎই জানতে পেরে যায় স্ত্রী, তারপর…

News Desk

কাশ্মীরে সন্ত্রাস ছড়াতে তালিবানের ‘সাহায্য’ চেয়ে আফগানিস্তানে পুলওয়ামা হামলার মূলচক্রী মাসুদ আজহার

News Desk

মুম্বইয়ের তিন স্টেশন ও অমিতাভের বাড়িতে রাখা আছে বোমা! ফোন আসতেই ঝাঁপিয়ে পড়ল পুলিশ

News Desk