ট্রান্সপোর্ট রেট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে অস্বাভাবিক হারে! এই নিয়ে ইন্ডিয়ান অয়েলের পক্ষ থেকে একটি নতুন টেন্ডার ডাকা হয়েছে। আর এই টেন্ডারে ট্রান্সপোর্ট রেট নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর তাতেই ক্ষেপেছেন তেল ট্যাঙ্কারের মালিকরা। আর এরপরেই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে তেল ট্যাঙ্কার মালিকদের তরফে।
ওয়েস্টবেঙ্গল ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশনে তরফে জানানো হয়েছে যে,নতুন টেন্ডারে ট্রান্সপোর্ট রেট অস্বাভাবিক হারে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে আর ট্যাঙ্কার গাড়ি চালানো সম্ভবপর নয়। আর সেই কারণেই এই ধর্মঘটের পথে তাঁরা হাঁটতে বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি তেল ট্যাঙ্কার মালিকদের। এই কারণে আজ ইন্ডিয়ান অয়েলের মৌড়িগ্রাম ডিপোয় ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ধর্মঘট অব্যাহত।
ইন্ডিয়ান অয়েল ডিপোতে ট্যাঙ্কার গাড়ির মালিকরা পেট্রোল ও ডিজেলের গাড়িতে তেল ভরেনি এর কারণে। এর কারণে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং নদিয়ার কিছু কিছু জায়গায় সরবরাহ করা যায়নি পেট্রোল বা ডিজেল।
এদিকে এই ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশনে ধর্মঘটের কারণে বন্ধ আছে পেট্রোল এবং ডিজেল ট্যাঙ্কারে না তোলা, সাথে সাথেই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে জ্বালানী ঘাটতির। ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রল ডিলয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে আজ সন্ধ্যের পর থেকে কলকাতা এবং হাওড়া জেলার পেট্রোল পাম্পগুলি শূন্য বা ড্রাই হতে শুরু করবে। ফলে একদিকে বন্যা আর আরেকদিকে করোনা মহামারীর সময়ে সামগ্রিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।
ইতিমধ্যেই এই সব পেট্রল পাম্পগুলিতে আজ থেকেই জ্বালানী সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এই ধর্মঘটের জট না উঠলে খুব শীঘ্রই কলকাতা-হাওড়ার সাথে সাথে গোটা পশ্চিমবঙ্গেই দেখা দেবে জ্বালানীর তীব্র অভাব এমনটাই আশঙ্কা। সব থেকে বড় সমস্যায় পড়তে চলেছে জেলায় জেলায় গণপরিবহণ ব্যবস্থা। বাস হোক কি ট্যাক্সি, ব্যাক্তিগত হোক কিংবা বাইক-স্কুটি, বড় সমস্যায় পড়তে চলছে যানবাহন। পেট্রোল ও ডিজেলের অভাবে গাড়ি হোক কি টু হুইলার, সব কিছুর চাকা হয়ত থমকে যাবে। মনে করা হচ্ছে কাল সকাল থেকেই কয়েকটি জেলায় পেট্রোল পাম্পগুলিতে তেল আর পাওয়া নাও যেতে পারে। যত সময় গড়াবে আস্তে আস্তে বাকি জেলাতেও জ্বালানীর সমস্যা ছড়িয়ে পড়বে বলে মনে করা।