মফস্সল থেকে কাজ করতে আসা গৃহ পরিচারিকাদের সব কিছুরই প্রশিক্ষণ দেবে রাজ্য সরকার ভ্যাকিউম ক্লিনার এ ঘর পরিষ্কার থেকে ওয়াশিং মেশিনে জামা কাপড় কাচা! সার্টিফিকেটও দেওয়া হবে সব শেষে।
এখন বেশিরভাগই ছোট পরিবার, শহর এবং শহরতলি সংলগ্ন এলাকায়। যার ফলে একদিকে সময় আর একদিকে সাহায্যের হাত, মানুষের জীবনের বেশীরভাগটাই এখন হয়ে উঠেছে যন্ত্র (Machine) নির্ভর এই দুইয়ের অভাবে। এখন বহু কাপড় দিয়ে ঘর মোছার চল বাড়িতেই আর নেই। বদলে যন্ত্র এসেছে। ফ্ল্যাট বাড়িতে এখন কাপড় কাচা হয় ওয়াশিং মেশিনেই। আরও অনেক আধুনিক প্রযুক্তির মেশিন এসে গিয়েছে গৃহস্থের কাজকর্মে। কিন্তু সেসব ব্যবহার করতে অনেক গৃহ পরিচারিকা (House Help) অভ্যস্ত নন। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, আধুনিক ধরনের মেশিন চালাতে পারেন না মফস্সল থেকে কাজ করতে আসা গৃহ পরিচারিকারা। ফলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের । আবার অনেকেই কাজ পান না এই সব যন্ত্র চালাতে না জানার জন্য। তাই শ্রম দফতর ঠিক করেছে রাজ্যজুড়ে এক বিশেষ ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে গৃহ পরিচারিকাদের ।
শ্রমদপ্তর (Department of Labour Welfare) শিবির শুরু করল। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বারুইপুরে এই শিবির শুরু হল। দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বেচারাম মান্না এবং বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এই শিবিরে দৈনিক হিসেবে ভাতাও দেবে সরকার প্রশিক্ষণে যোগ দিলে। তিনদিন ধরে প্রশিক্ষণ নিতে হবে একেক জন পরিচারিকাকে। প্রতিদিন ২৫০ করে মোট ৭৫০ টাকা ভাতা হিসেবে দেওয়াও হবে তার জন্য বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। তিনদিনে এই প্রশিক্ষণ ১২ ঘণ্টা হবে। ওয়াশিং মেশিন ,মিক্সার গ্রাইন্ডারের মতো যন্ত্রের ব্যবহার শেখানো হবে সেই ক্লাসে। এছাড়াও সবই শেখানো হবে ব্যাঙ্কের প্রাথমিক কাজকর্ম, প্রাথমিক চিকিৎসা, আদবকায়দা, শিষ্টাচার।
প্রশিক্ষণ শেষে সরকারের তালিকাভুক্ত করা হবে তাঁদের নাম। রাজ্যে ‘এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক’ (Employment Bank) তৈরি করা হয়েছে সরকারি কর্মীদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য। সেখানেই গৃহ পরিচারিকাদের নাম তোলা হবে এবার। সেক্ষেত্রে তালিকাভুক্তরা সুবিধা পাবেন কেউ সরকারের মাধ্যমে বাড়িতে পরিচারিকা রাখতে চাইলে ।