বিভিন্ন রকমের রোগ হচ্ছে চারিদিকে। যদি আপনি শোনেন সে সমস্ত রোগের কথা তবে সত্যিই অবাক হবেন। অনেক বিরল রোগের কথা শোনা যায় আজকাল। কথায় আছে জলের আরেক নাম জীবন। আর সেই জল নিজেই যদি খুব খারাপ অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে যে কি রূপ নেবে তা ভাবলেও গা শিউরে ওঠে।
বছর পনেরোর এক আমেরিকা বাসী মেয়ের নাম এবিগেল বেক (Abigail Beck)। সেই মেয়েটি একটি বিরলতম রোগে আক্রান্ত। এলার্জির ধাত আছে মেয়েটির, আর সেই এলার্জি হয় জল থেকেই। এবিগেল যখন বছর ১৩ এর বাচ্চা মেয়ে তখন তাঁর এই এলার্জি ধরা পড়ে। মেয়েটির এলার্জি হয় জলের থেকে।
জলে স্নান করার থেকে জল যদি মাথায় ছেটানও হয় তাহলে নাকি সারা শরীর যন্ত্রণায় কাতরায়। এমনকি, অ্যাসিড এর মতো লাগে চোখের জলও। চোখের জল চোখ থেকে গড়িয়ে গাল অবধি আসতেই পুড়ে যায় গাল। এমনকি বাইরে বেরোলে বৃষ্টির জল পড়লেও একই হয়, ঘাম হলেও মনে হয় যেন গা পুড়ে যাচ্ছে। ত্বক পুরো ফুলে গিয়ে লাল হয়ে যায়। চুলকানির পাশাপাশি প্রচন্ড জ্বালাও করছে। জল থেকে হওয়া এই এলার্জির নাম : অ্যাকোয়াজেনিক আর্টিসারিয়া (aquagenic urticaria)। এও জানা গেছে যে এই রোগ হতে পারে ২০০ মিলিয়নে এক জনের। এই রোগের প্রধান উপসর্গ হল জ্বর, নাক দিয়ে জল পড়া, হাঁচি, মাথা যন্ত্রণা যা হয় জলের সংস্পর্শে এলেই। সূত্রের খবর এই মেয়েটি নাকি প্রায় এক বছর ধরেই জল না খেয়ে আছে, এবার মূল প্রশ্ন হল ওই কিশোরী বেঁচে আছেন কী ভাবে?
চিকিৎসকদের মতে , তাঁর শরীরের ভিতর যে জল রয়েছে তা নিয়ে কোনও সমস্যা হয়না। বাইরের থেকে যখন জল শরীরে প্রবেশ করে সমস্যা তখনই শুরু হয়। পরিশুদ্ধ জল দিয়েও চেষ্টা করা হয় কোনও লাভ হয়নি। ওই তরুণী একপ্রকার বাধ্য হয়েই এই দুবছরে কয়েক দিন মাত্র স্নান করেছে। সারা দিনে মোটে দু থেকে তিন ঢোক জল খায় ওই তরুণী। বেশিরভাগ সময়ই তেষ্টা পেলে সে এনার্জি ড্রিংক বা ফ্রুট জুস্ খেয়েই কাটায়।
তরুণীকে নানা ভাবে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চলছে। তবে জীবন বাঁচবে কী ভাবে যদি জল থেকে এলার্জি হয়? গবেষণা চলছে!