রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই হোটেল রেস্তোরাঁ খোলায় ছাড়পত্র দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ নবান্ন সভাঘরে বণিকসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই ঘোষণা করেন।
নির্বাচন পরবর্তী সময়ে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত বেড়েছিল হুহু করে। লাগাম টানতে গোটা দেশের মত কার্যত লকডাউনের পথে হেঁটেছিল রাজ্য। বন্ধ হয়েছিল জিম, শপিং মল রেস্তরাঁ ইত্যাদি একাধিক পরিষেবা। বন্ধ হয় ট্রেন, বাস সমস্ত গণ পরিবহনও। এই আত্মসংযমের ফল মিলেছে হাতে নাতে। রাজ্যে আস্তে আসতে অনেকটাই কমছে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তাই ১৫ই জুন পর্যন্ত কার্যত লকডাউন বজায় থাকলেও ছাড় মিলছে কিছু কিছু পরিষেবার ক্ষেত্রে। তবে অবশ্যই তা করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে।
আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষনা করেছেন কর্মীদের টিকা দিয়ে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে রেস্তরাঁ খোলা যেতে পারে। বহু ব্যাবসার মত রেস্তরাঁর ব্যবসা চলতি করোনা পরিস্থিতিতে জটিল সমস্যার মুখে পড়ছে। এই মর্মে আবেদন করেছিল বণিকসভা। সেই আবেদনে সারা দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘‘মিষ্টির দোকান তো আমরা সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা খোলা থাকবে বলেছি। রেস্তরাঁও খোলা থাক। বিকেল ৫টা থেকে ৮টা পর্যন্ত রেস্তরাঁ খোলা রাখতে পারেন। তবে কর্মীদের টিকা দিতে হবে। সমস্ত রকম করোনা নিরাপত্তাবিধিও বজায় রাখতে হবে।’’
পাশাপাশি পরামর্শ দেন অনলাইন ফুড ডেলিভারি করায় বেশি জোর দিতে। প্রসঙ্গত হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকলেও চালু ছিল অনলাইন খাবারের ডেলিভারি। করোনা পরিস্থিতিতে তা অনেকটা সুরক্ষিত উপায় বলেই অনুমতি ছিল। এখন থেকে কোভিড বিধি মেনে আর টিকা দিয়ে রেস্তোরাঁ ও কিছুক্ষন খোলার অনুমতি মিলছে।