হ্যান্ডেলে হাত লাগাতেই হচ্ছে না। কিন্তু তাও টিউবওয়েলের (Tube well) মুখ দিয়ে তীব্র বেগে এক নাগাড়ে বেরিয়ে আসছে জলধারা। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম ২ ব্লকের জামতাড়া গ্রামের গ্রামবাসীরা সাক্ষী থাকল এমনই ঘটনার। যা দেখে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
এমন অদ্ভুত খবর শুনতে পেয়ে আশপাশের এলাকা থেকে অনেক মানুষই টিউবওয়েলটির অবিশ্রাম জলধারা দেখতে আসেন। অবিকল যেন সাবমার্সিবল পাম্পের মতই বেশ বেগে জলধারা নিজে থেকেই মাটির নীচ থেকে উঠে আসছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই শোরগোল ফেলে দেওয়া টিউবওয়েলটি অবস্থিত জামতাড়া গ্রামের বাসিন্দা পেশায় কৃষক মহম্মদ হানিফের বাড়ির উঠোনে। সেই টিউবওয়েল থেকেই এভাবেই আপনা আপ জল বেরিয়ে আসছে। জলের জন্য টিউবওয়েল পাম্প করতে হচ্ছে না। এমনকি টিউবওয়েলের হ্যান্ডেলে কাউকে ছুঁতে পর্যন্ত হচ্ছে না।
মহম্মদ হানিফের জানান, বছর দু’য়েক আগে তিনি নিজের বাড়িতে এই টিউবওয়েলটি বসান। তাতে জল বেশ সহজেই ওঠে। তবে টিউবওয়েলের যেমন স্বাভাবিকভাবে হ্যান্ডেল চাপ দিয়ে জল তোলা হয় সেভাবেই জল তুলতেন মহম্মদ হানিফ ও তার পরিবার। মহম্মদ হানিফের বক্তব্য অনুযায়ী, “শুক্রবার হঠাৎ দুপুর নাগাদ খেয়াল করি আমার টিউবওয়েলের হ্যান্ডেলে কেউ হাতই দেয়নি অথচ সেখান থেকে অবিরাম জল বের হচ্ছে। যেমন পরিষ্কার পানীয় জল টিউবওয়েল থেকে মেলে তেমনই জল।”
এদিন মহম্মদ হানিফের প্রতিবেশী আরেক কৃষকের কাছে ধান বেচা কেনা করতে যান শেখ মোজাম্মেল নামে এক ব্যবসায়ী এই ঘটনা প্রসঙ্গে এক বাংলা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “একেবারে ভূতুড়ে কাণ্ড। এমন অদ্ভুত ঘটনা আগে দেখিনি।” তবে স্থানীয় বাসিন্দা ভাল্কি অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অরূপ মির্ধার এই নিয়ে বক্তব্য,” এমন ঘটনা এই প্রথম নয় এর আগেও ঘটেছিল। আমাদের ধারণা জামতাড়া গ্রামের ওই জায়গায় জলতলের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণেই এমন ঘটছে। অলৌকিক কোনো কিছু নয়।” এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আউশগ্রাম ২ বিডিও গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “কীভাবে এই অবিরাম জল বের হওয়ার ঘটনাটি ঘটছে সেই বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার জন্য আমি বাস্তুকারকে পাঠাব।”