আফগানিস্তানের (Afghnaistan) ভূমিতে ফিরে এসেছে তালিবান রাজ (Taliban)। চূড়ান্ত আতঙ্কের পরিবেশ গোটা আফগনিস্তান জুড়ে। ২০ বছর আগের তালিবানি অত্যাচারের স্মৃতি এখনও টাটকা গোটা আফগানিস্তান জুড়ে। একবার তালিবান জাঁকিয়ে বসলে কার্যত যে বাঁচা দুঃসহ হয়ে উঠবে আফগানিস্তানের মাটিতে তা ভেবে আশঙ্কিত বহু মানুষ। বাড়ির মেয়েদের স্বাধীনতা তো বটেই, এমনকি ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎও মধ্যযুগীয় ইসলামিক শাসনের জেরে অন্ধকারের মুখে টের পাচ্ছেন তারা।
কাবুলিওয়ালার দেশের তথাকথিত শহুরে মানুষদের অনেকের কাছেই রয়েছে বিদেশি ভিসা, পাসপোর্ট। তাই রাজধানীর বহু বাসিন্দাই আফগানিস্তান ছাড়তে কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Kabul Airport) ভিড় জমিয়েছেন। এরই মধ্যে ধারাবাহিক সন্ত্রাসবাদী বিস্ফোরণের হামলায় বিমানবন্দরেও আতঙ্কের পরিবেশ। এদিকে যাদের হাতে নেই কোনো আমেরিকার প্লেনে ওঠার ছাড়পত্র তাদের অনেকেই দেশ ছাড়তে চেয়ে ভীড় জমিয়েছেন পাকিস্তান-আফগানিস্তান স্পিন বলডাক সীমান্তে (Spin Boldak border)। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে ভীড়কে আটকাতে শুক্রবার পাক সেনাকে চালাতে হয়েছে গুলিও। তাতে তিনজন আফগানি শরণার্থীর মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
পাকিস্তানে ঢুকতে চেয়ে স্পিন বলডাক চেকপোস্টে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পদপৃষ্ট হয়ে হতাহত হওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বুধবারের এই শরণার্থীদের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে নেট মাধ্যমে। শেয়ার হওয়া ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে হাজার হাজার আফগানিস্তানের জনসাধারণ তাদের সম্বলটুকু নিয়ে ধাক্কাধাক্কি করছে সীমান্তের পাক চেকপোস্টে।
ভীষণ রোদের মধ্যে দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে সংকীর্ণ একটি প্যাসেজের মধ্যে চেকপোস্ট খোলার আশায় সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢোকার চেষ্টা করছেন তারা। নাতিক মালিকজাদা নামের এক টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে।
ভিডিওটির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন এই জায়গাটি কাবুলের বিমানবন্দর নয়। এটি পাকিস্তান ও আফগানের (Pakistan Afghanistan Border) স্পিন-বলডাক সীমান্ত। এরা প্রত্যেকেই আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তান যেতে চান। এখানকার ভীড়ের পরিস্থিতি রাজধানী কাবুল বিমানবন্দরের থেকেও ভয়াবহ।
কিন্তু যেহেতু এখানে বিদেশি সেনা নেই তাই এটা কোনও মিডিয়াও দেখাবে না। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করা তালিবান দাবী করেছে পাকিস্তানে তাদের জন্ম হয়েছে, তাই পাকিস্তান তাদের দ্বিতীয় বাড়ি। এরপর দেখতে পাওয়া গেল পাক-আফগান সীমান্তে আফগান জনগণের ভিড়।