বিহারের বেত্তিয়ায় এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে দেখা করতে আসা এক বিবাহিত প্রেমিককে ধরে ফেলে গ্রামবাসীরা। এরপর দুজনকেই বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে সারারাত মারধর করা হয়। দুজনকেই সকালে জোর করে বিয়ে দিয়ে গ্রাম থেকে চিরতরে বিতাড়িত করা হয়। ঘটনাটি সুগৌলী গ্রামের। মারধরের ভিডিওও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পুলিশ এ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
বলা হচ্ছে, ওই মহিলার স্বামী দুবাইতে ড্রাইভারির কাজ করেন। অনেক বছর ধরে বাড়িতে আসেনি স্বামী। এদিকে, সেমরা চকে মোবাইলের দোকান চালায় গ্রামের এমন এক যুবকের সঙ্গে মহিলার সম্পর্কের সূত্রপাত হয়। গত ছয় মাস ধরে দুজনের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক চলছে। বৃহস্পতিবার রাতে প্রেমিক গৃহবধূর সাথে দেখা করতে তার বাড়িতে পৌঁছলে গ্রামবাসী তাকে দেখতে পান।
প্রথমে তারা প্রেমিক ওই জনক হাতেনাতে ধরেন। পরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রাখা ওই মহিলাকেও বাড়ি থেকে বের করে এনে দুজনকেই বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে ফেলা হয়। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা সকাল পর্যন্ত দুজনকেই মারধর করে, শারীরিক ও মানসিক হেনস্থা করেন। সকালে প্রেমিকের স্বজনদের ডেকে জোরপূর্বক দুজনের বিয়ে করানো হয়। গ্রামবাসীদের চাপে পড়ে ওই যুবক বিবাহিত মহিলার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেয়। এরপর দুজনকেই গ্রাম থেকে বিতাড়িত করা হয়।
প্রেমিক যুগল ইতিমধ্যেই বিবাহিত বলে জানা গেছে। দুজনের সন্তানও আছে। গ্রাম থেকে উচ্ছেদের পর ওই নারী তার সন্তানদেরও সঙ্গে নিয়ে গেছেন। এখন তারা দুজনই কোথায় আছেন সেই বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। একই সঙ্গে এইভাবে আইন নিজেদের হাতে তুলে নিয়ে মারধরের মামলার তদন্ত করছে পুলিশ। অন্যদিকে সরপাচ বাবলু পাসওয়ান জানান, দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল, তাই তারা বিয়ে করেছেন। তাকে গ্রাম থেকে বহিষ্কার করা বিষয়ে সরপঞ্চ কোনো হস্তক্ষেপ করেননি।