বলিউডে আবারও শোকের ছায়া। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সুরেখা সিকরি (Surekha Sikri)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। বহুদিন ধরেই শারীরিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন তিনি। ২০২০ সালে ব্রেন স্ট্রোকও হয়েছিল তাঁর। তার আগে ২০১৮ সালে প্যারালাইসিস অ্যাটাক হয়েছিল তাঁর। দেখা দিয়েছিল হার্টের নানা সমস্যাও। অর্থাভাবে ব্যাহত হচ্ছিল চিকিৎসাও। তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন অভিনেতা সোনু সুদ, এবং সুরেখা সিক্রির ‘বধাই হো’ চলচ্চিত্রের সহ-অভিনেতা গজরাজ রাও এবং পরিচালক অমিত শর্মা। এরপরই আজ ১৬ই জুলাই শুক্রবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন তিনি। মৃত্যুর সময়ে তার পাশে ছিল তার গোটা পরিবার। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর ম্যানেজার এক সংবাদ সংস্থা কে দেওয়া খবরে জানান তাঁর মৃত্যু সংবাদ।
তিন বারের জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রি অভিনয়ের দুনিয়ায় পা রাখেন ১৯৭৮ সালে। তাঁর অভিনীত প্রথম সিনেমা ছিল কিসসা কুর্সি কা। ‘তামাস’ (১৯৮৮), ‘মাম্মো’ (১৯৯৫) এবং ‘বাধাই হো’ (২০১৮), সিনেমায় তার অসাধারণ অভিনয় প্রতিভার জন্য তিনি ৩ বার জাতীয় পুরষ্কার পায়। রুপোলি পর্দার পাশাপাশি তিনি টেলিভিশনেও অভিনয় করেছেন ‘সাঞ্ঝা চুলাহ’, ‘সিআইডি’, ‘সাত ফেরে’- ইত্যাদি হিন্দি সিরিয়ালে। তবে সুরেখা সিক্রি ‘বালিকা বধূ’ হিন্দি টেলি-ধারাবাহিকে তার চরিত্র ফুটিয়ে তোলার পরে ঘরে ঘরে বিপুল জনপ্রিয়তা পান। বলা যায় এটি তার কামব্যাক অভিনয় জগতে।
তাঁকে শেষবারের মত অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল যোয়া আখতার পরিচালিত শর্ট ফিল্ম ঘোস্ট স্টোরিজ (Ghost Stories)-এ। ‘বাধাই হো’ সিনেমায় আয়ুষ্মান খুরানার ঠাকুমার ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। হুইল চেয়ারে করে গিয়ে সেই পুরস্কার গ্রহণ করেছেন সুরেখা। তার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা বলিউড।