অনেক সময় কঠোর পরিশ্রম করলেও জীবনে যেন ভাগ্য সহায় হয় না। কিছুতেই সৌভাগ্য যেন ধরা দেয় না, ফল মেলে না। কিন্তু জানেন কি জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা আছে যা স্নানের সময় ব্যাবহারে জীবনের নানান সমস্যা দূর হয় এবং আর্থিক দিক থেকেও উন্নতি হয়। নিজেকে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখতে আমরা সকলেই রোজ স্নান করি। ভালো ভাবে স্নান করলে আমাদের শরীর মন সতেজ হয়। কিন্তু শুধু এই টুকুই নয় স্নানের মাধ্যমে আমরা যে অনেক বাঁধা সমস্যাও কাটাতে পারি আমাদের জীবনের । জানুন এই বিষয়ে জ্যোতিষ কি বলছে। কোন কোন জিনিস এমন আছে যা স্নানের সময় জলে মিশিয়ে স্নান করতে পারলে উপকার পাওয়া সম্ভব নানা দিক থেকে।
জেনে নিন কি উপকরণ বা সামগ্রীতে কী ধরনের ফল লাভ—
আর্থিক বৃদ্ধি বজায় রাখতে স্নান:
কিছুটা গঙ্গাজল স্নানের জলে, বা যদি আপনি শুক্রবার সুগন্ধি জিনিস, যেমন চন্দন বা গোলাপ জল মিশিয়ে স্নান করেন তাহলে সর্বদা লক্ষ্মীর বাস হবে ঘরে। এছাড়াও পদ্ম ফুলের পাপড়ি, বেলপাতা ইত্যাদির স্নানের জলে ব্যাবহার সম্পত্তি বৃদ্ধি করে।
কাঁচা দুধ মিশিয়ে স্নান:
বুদ্ধির বিকাশ ঘটে , আয়ু বাড়ে, এবং শারীরিক ক্ষমতা বা বলবৃদ্ধি হয় সোমবার স্নানের সময় জলে দুধ মিশিয়ে স্নান করলে।
ঘি মিশিয়ে স্নান:
ভীষণই কম পরিমাণ ঘি আর গঙ্গাজল স্নানের জলে মিশিয়ে স্নান করলে নানা প্রকার শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়া শরীরে শক্তি আসে। বিভিন্ন চর্মরোগে দীর্ঘ দিন ধরে ভুগছেন যারা তারা স্নান করতে পারেন স্নানের জলে সাদা চন্দন মিশিয়ে। অনেক উপকার পাবেন।
সাদা আর কালো তিল মিশিয়ে স্নান:
সামান্য গঙ্গাজল এবং সাদা তিল রোজকার স্নানের জলে মিশিয়ে স্নান করা বিশেষ উপকারী। মহিলাদের জন্য বিশেষত। মহিলাদের অনেক গুপ্ত রোগ সেরে যায় এই স্নান করলে । কালো তিল মিশিয়ে স্নান করলে টাকা পয়সা আসে, আর্থিক সৌভাগ্য ফেরে জ্যোতিষ শাস্ত্র বলে।
লবণ জলে স্নান:
যদি স্নানের আগে জলে এক চিমটে লবণ মিশিয়ে সেই জলে স্নান করেন, নিজের চারিদিকে তাহলে পজিটিভ এনার্জি বজায় থাকে। যদি আপনার দীর্ঘদিন কোনও কাজ আটকে থাকে তাহলে সে কাজ সম্পূর্ণ হয়।
লাউয়ের রসে স্নান:
স্নানের আগে অল্প লাউয়ের রস জলে মিশিয়ে সেই জলে শুক্রবার স্নান করুন, পুরুষ-মহিলা, সকলের সৌভাগ্য ফিরবে এই স্নানের ফলে । শরীর ঠাণ্ডা থাকবে।
কর্পূর জলে স্নান:
ভাগ্য ফেরাতে জলে মিশিয়ে নিন কয়েক ফোঁটা কর্পূরের তেল স্নানের সময়। সেই জলে স্নান করুন সৌভাগ্য ফেরাতে ।
শিশুদের জন্য টক দই মেশানো জলে স্নান:
যে শিশু ভীষণ ভাবে চঞ্চল, একদম কথা শোনে না স্নানের জলে সামান্য টক দই এবং সাদা চন্দন মিশিয়ে তাদের স্নান করিয়ে দেখতে পারেন। খুব উপকার পাওয়া যায় এতে করে।