বেশ কদিনের মধ্যে ঘটে যাওয়া এক অমানসিক ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়াকে উত্তাল করে দিয়েছে। একজন যুবককে দেখা গেছে এক ঘোড়াকে লাগাতার ধর্ষণ করতে। বিগত বেশ আট নয় মাস ধরে ওই যুবক এই নোংরা কাজ করে চলেছেন । আস্তাবলে থাকা সিসিটিভি ফুটেজের সম্পূর্ণ ঘটনাটি ধরা পড়েছে। এবং ফুটেজের সাপেক্ষে ওই যুবকের ডিএনএ টেস্ট করা হয়েছে ঘোড়ার সাথে এবং তাতে সত্যি প্রমাণিত হয়েছে যে ওই যুবতীকে ধর্ষণ করেছে। আদালত থেকে ধর্ষণের মামলায় ওই যুবককে দশ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ।
আমেরিকার টেক্সাসে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা থেকে জানা গেছে যে ওই যুবকের নাম জিম মারি বুগোমা। বুগোমা তিনবার আস্তাবলে ২০২০ সালের জুন মাস থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সেই জঘন্য কাজটি করেছে। আস্তাবল এর সিসিটিভিতে ওই যুবককে নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। আর ওই ফুটেজ এ এরপরই আস্তাবলের মালিক দেখেন নোংরা সত্যি । চমকে যান তিনি সব কিছু দেখার পর। যাওয়ার পর তিনি দেখতে পান দুটি ঘোড়া আহত অবস্থায় রয়েছে । এরপর ওই ঘোড়া দুটিকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে দেখা যায় ভরা দুটির ধর্ষণ করা হয়েছে। যদিও তখনও বুগোমাকে সন্দেহ করেনি আসতাবলের মালিক। বেশ মাসকয়েক বাদে বুগোমাকে আবার যখন আস্তাবলে আসতে দেখা যায়।
তারপর ওই আস্তাবলের মালিক পুলিশের কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে। এর মধ্যে সবথেকে অবাক করা ব্যাপার হল বুগোমা আস্তাবল থেকে যাওয়ার পরেই দেখা যায় এই ঘোড়া দুটি পা বেঁধে রাখা অবস্থায় রয়েছে। তারপর বুগোমাকে ওই আস্তাবলের মালিক এর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। বুগোমা প্রথমে সম্পূর্ণ বিষয়টি অস্বীকার করেন আর তারপর ডি এন এ টেস্টেই সব ধরা পরে। এরপরই আদালতে বিষয়টি জানানো হয়। ধর্ষণের দায়ে ঘোড়াকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত দশ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়।
ঘটনাটা ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুতগতিতে। নেটিজেনরা এমন কাজের জন্য তার দশ বছরের কারাদণ্ড সঠিক শাস্তি নয় বলে দাবি জানিয়েছেন । তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া উচিত সারা জীবনের জন্য । আর কেউ যেন এমন অবলা প্রাণীদের ওপর অত্যাচার করার আগে দশ’বার ভাবে।