প্রেমের সম্পর্কে কোনো বাধা বড় বাঁধা নয়। প্রেম ছোটো বড়ো, জাত, রঙ, বর্ন কোনো প্রভেদ মানে না। কিন্তু মাঝে মাঝে প্রণয় সম্পর্কিত এমন এমন ঘটনা সামনে আসে যা অবাক করে দেওয়ার মতন। এমন এক ঘটনা সামনে এলো মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া জেলা থেকে। সেখানে এক অদ্ভুত দাবি নিয়ে থানায় পৌঁছেছে দুই মেয়ে। দুজনেই পুলিশকে জানিয়েছেন, ১৪ মাস ধরে তাঁরা স্বামী-স্ত্রীর মতো একসঙ্গে বসবাস করছেন। কিন্তু তারা কোনো বিপদে পড়তে চান না। তাই তাদের সার্টিফিকেট দেওয়া উচিত।
মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া জেলার এই চমকপ্রদ ঘটনা যেখানে দুই মেয়ে কোতয়ালীতে পৌঁছে পুলিশের কাছে দাবি করেছে যে তারা গত এক বছর ধরে স্বামী-স্ত্রী হিসাবে একে অপরের সাথে বসবাস করছে। তারা সবসময় এভাবেই একসাথে থাকতে চায়। দুজনেই তাই পুলিশ এর কাছে তাদের স্বামী-স্ত্রী বিবেচনা করে সার্টিফিকেট দিতে বলেন। যদিও এ বিষয়ে পুলিশ বলল, এটা আমাদের কাজ নয়। পুলিশ দুজনের স্বজনদের ডেকে বুঝিয়ে তাদের পাঠিয়ে দেয়।
![](https://dainiksangbad.com/wp-content/uploads/2022/06/IMG-20220625-WA0019.jpg)
জানা গেছে, মেয়ে দুটিই ঝাবুয়ার আশপাশের দুটি গ্রামের বাসিন্দা। গুজরাটে মজদুরির সময় দুজনেই একে অপরের প্রেমে পড়েন এবং দুজনেই স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। দুজনেই বলে যে তারা দুজনই মেয়ে, কিন্তু সেই পরিচয় লুকিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মতো তারা গত ১৪ মাস ধরে একসাথে বসবাস করছে এবং তারা তা চালিয়ে যাবে। মেয়েরা আরও জানায়, দুজনের পরিবারও এই সম্পর্কে রাজি। তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একটি সার্টিফিকেট পেতে চান। এই আবেদন নিয়েই কোতোয়ালি থানায় দুজনেই পৌঁছয়।
পুলিশ দুজনকেই বুঝিয়ে বলে যে, সার্টিফিকেট দেওয়া আমাদের কাজ নয়। এই বিষয়ে ঝাবুয়া কোতোয়ালির ইনচার্জ সঞ্জয় রাওয়াত বলেন, গুজরাটে কাজের সময় দুই মেয়েই একে অপরের সাথে পরিচিত হন, তারপর থেকে তারা একসাথে থাকতে শুরু করে। গত দুই মাস ধরে তারা এখানে এক গ্রামে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একসঙ্গে বসবাস করছেন। এখন দুজনের পরিবারের সদস্যরা এসেছেন। পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে পুলিশ মেয়ে দুটিকে তাদের পরিবারের সঙ্গে পাঠিয়ে দিলেও মেয়েরা অন্য কারো সাথে থাকতে রাজি নয়।