নিজের মনের মানুষ খুজেঁ নিতে আজকালকর নতুন প্রজন্ম ভরসা রেখে ডিজিটাল মাধ্যমের উপর। আর এই ভাবেই এখন ট্রেন্ড বাড়ছে ডেটিং অ্যাপের। ডেটিং অ্যাপ থেকে যুবক যুবতীদের পরিচয় হয়, একে অপরকে ভালো লাগলে ডেটও করে। কিন্তু কখনও সখনও ডিজিটাল প্রেমের ফাঁদেও পড়ে মানুষ এবং ফেঁসে যায়। এমনই এক ঘটনার খবর এসেছে নয়াদিল্লী থেকে। যেখানে এক বৃহন্নলার ডেটিং অ্যাপ এর মাধ্যমে এক যুবক কে ফেলেছে ফাঁদে। জানা গেছে এক বৃহন্নলা ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে এক যুবকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। এরপর তারা একে অপরের সাথে দেখা করে। কিন্তু তারপরেই ঘটে বিপত্তি। ওই বৃহন্নলা যুবকের অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে। এই ঘটনায় যুবক থানায় অভিযোগ করার কথা বললে অভিযুক্ত তাকে মানহানির হুমকি দিতে থাকে। নির্যাতিত যুবক তা সত্বেও সাহস দেখিয়ে মেহরাউলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে দুই বৃহন্নলাকে আটক করেছে পুলিশ।
হর্ষ বর্ধন, দক্ষিণ জেলা দিল্লির অতিরিক্ত ডিসিপি বলেছেন, “শুক্রবার সকালে, এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছিলেন যে কয়েক দিন আগে, একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে হিনা খান নামে একটি মেয়ের সাথে তার কথোপকথন শুরু হয়েছিল। কয়েকদিন ধরে কথোপকথন চলতে থাকে, তারপরে মেয়েটি তাকে দক্ষিণ দিল্লির সাইদুল্লা জাবের একটি ফ্ল্যাটে দেখা করতে ডেকেছিল।
এখানে কিন্নর হিনা খান উপস্থিত ছিলেন আরেক সহকর্মী আশমাইরা ইব্রাহিমের সঙ্গে। দুজনেই ওই যুবককে ফ্ল্যাটের ভেতরে নিয়ে ঢুকে ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ করে দেন। এরপরই আসল রূপ ধরে ওই দুই কিন্নর। জোরপূর্বক যুবকের পকেট থেকে এক হাজার টাকা, গলার সোনার চেন, যুবকের ফোন-পে ব্যাবহার করে আরো ছয় হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর জোরপূর্বক যুবকের জামা কাপড় খুলে তার অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং ভিকটিমের বর্ণনা মত ঘটনাস্থলেই ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে উভয় কিন্নরকে আটক করে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, অভিযুক্ত ওই দুই বৃহনল্লা একইভাবে আরো অনেক যুবককে ফাঁদে ফেলে লুটপাট করেছে। কিন্তু অপবাদের কারণে কেউ পুলিশের কাছে এই যাবৎ অভিযোগও করেনি। এখন পুলিশ অভিযুক্ত দুজনকে আটক করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।