ভাড়াটে সেজে বাড়ি ভাড়া চাওয়ার অজুহাতে একাকী বৃদ্ধ দম্পতিকে বেঁধে রেখে লুটপাট। সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা নগদ টাকা এবং সোনার গয়নাও লুট করেছে। ব্যান্ডেলের (Bandel) এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
ব্যান্ডেলের বিক্রমনগরে বসবাস করেন দেবনারায়ণ দত্ত। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিক। ছেলে কাজের সুত্রে অন্য রাজ্যে থাকেন। তাই অবসরের পর স্ত্রীকে নিয়েই দোতলা বাড়িতে একাই বাস করেন। এক তলায় অনেকদিন ধরেই ভাড়া দেওয়া হয়। কিছুদিন আগে পুরানো ভাড়াটে ভাড়া ছেড়ে উঠে গিয়েছেন তাই নতুন ভাড়াটের খোঁজে ছিলেন দেবনারায়ন বাবু। বাড়ি ভাড়া দেওয়া হবে এমনটা লিখে বাড়ির বাইরে নোটিসও ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। শনিবার সন্ধ্যেবেলা কলিংবেলের আওয়াজ শুনে দেখেন এক যুবক দাঁড়িয়ে। সে জানায় ভাড়ার খোঁজে এসেছে। বাড়ি ভাড়া দেওয়া নিয়ে বাড়িতে বসে শুরু হয় কথাবার্তা।
ইতিমধ্যে ওই যুবক বৃদ্ধর কাছে একটু জল খেতে চান। বৃদ্ধ জল আনার জন্য পেছন দিকে ফিরতেই বৃদ্ধের মুখ চেপে ধরে যুবক। গায়ের জোরে বেঁধে ফেলেন তাঁকে। জানা গিয়েছে যুবকের কাছে ছিল আগ্নেয়াস্ত্রও। এদিকে, স্বামীকে এই অবস্থায় দেখে ভয়ভীত হয়ে যান বৃদ্ধাও। তাঁকেও বেঁধে ফেলে দুষ্কৃতী। দুজনকে বেঁধে ফেলে করে লুটপাট। আলমারির লকার ভাঙ্গে দুষ্কৃতীরা। টাকা পয়সা এবং সোনার গয়না যা ছিল সবই অল্প সময়ের মধ্যে লুটপাট করেই এলাকা ছাড়ে দুষ্কৃতীরা।
দুষ্কৃতীরা বেরিয়ে গেলে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে শুরু করেন বৃদ্ধ দম্পতি। প্রায় ৪০ মিনিট ওই অবস্থায় বাঁধা থাকার পর বাঁধন মুক্ত হন দু’জনে। প্রতিবেশীদের কানে চিৎকার গেলে দৌড়ে এসে উদ্ধার করে দুজনকে। এরপর চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বৃদ্ধ। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। কিন্তু এখনও কাউকেই আটক করা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় স্বভাবতই প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা। আতঙ্কিত ঐ বৃদ্ধার পরিবার।