গত বৃহস্পতিবার হাওড়া আদালতে পৌঁছে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন “হ্যাঁ, আমরা রাজমিস্ত্রি। কিন্তু তাতে কী হয়েছে? রাজমিস্ত্রি বলে কি আমাদের মন থাকতে নেই?” পাশাপাশি, রিয়া এবং অনন্যা নামের যে দুই গৃহবধূর সাথে তাঁরা পালিয়েছিলেন তারা এখন কোথায় কী অবস্থায় আছে তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বালির দুই গৃহবধূর ‘প্রেমিক’ শুভজিৎ দাস ও শেখর মজুমদার।
কিন্তু এই ঘটনার চিত্রপট হঠাৎই পরিবর্তিত। সংবাদ মাধ্যম এই সময় ডিজিটাল- এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে বালির গৃহবধূর স্বামী পলাশ কর্মকার তাদের এই বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন যে রাজমিস্ত্রী প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ী থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই গৃহবধূ রিয়া ও অনন্যা ফিরছেন স্বামীর ঘরেই! নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন শ্বশুড়বাড়ির সঙ্গে?
তিনি এই সময় ডিজিটাল-কে পলাশ কর্মকার জানিয়েছেন, ‘রিয়া এবং অনন্যারা সুরক্ষিত আছেন। বিবাহ বিচ্ছেদের কথা চিন্তা করিনি। দুই গৃহবধূই জানিয়েছেন সেই দুই রাজমিস্ত্রীর কাছে ফিরে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। পলাশ বাবু আরো জানিয়েছেন তাঁর বাবা অসুস্থ। বাবাকে নিয়ে বাড়ির দুই বউই হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করত। মাঝে এমন একটা ঘটনা আকস্মিক ভাবেই ঘটে গিয়েছিল।’ কর্মকার পরিবারের বউ দের নয়, পুরো দোষটাই তিনি দিয়েছেন তাদের বাড়ি সংস্কারের কাজে আসা দুই রাজমিস্ত্রী শুভজিৎ দাস ও শেখর মজুমদার কে। পলাশ কর্মকার এই সময় ডিজিটাল কে জানিয়েছেন, ‘আমাদের বাড়ির দুই বউকে ফুসলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ওই দুই রাজমিস্ত্রী ক্রিমিনাল। ওদের সঙ্গে রিয়া ও অনন্যার জীবন কাটানোর কোনও প্রশ্নই ওঠে না। ওদের স্ট্যান্ডার্ড আলাদা।’
বৃহস্পতিবারই আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করলে বেরিয়ে আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে শেখর এবং শুভজিৎ উভয়েই বলেছিলেন, আইন মেনেই তারা তাদের প্রেমের পরিণতি চান।
তাঁদের এই কথার জবাবে পলাশ কর্মকার জানিয়েছেন, অপরাধীরা অপরাধ ঠেকানোর জন্য এসব বলেই থাকে, কিন্তু তার সাথে তার স্ত্রীর সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। রোজই তাদের কথা হয়। ওঁদের কেউ ভুল পথে চালিয়েছিল বলে মনে করেন তিনি।